সুজন কৈরী : [২] পথচারীকে হেনস্থা ও মারধরের অভিযোগে গ্রেপ্তার ইয়াসিন আরাফাত অপু ওরফে অপু ভাই মাদক কারবারিতেওজড়িত থাকতে পারে বলে পুলিশের ধারণা।
[৩] ডিএমপির উত্তরা জোনের ডিসি নাভিদ কামাল শৈবাল সাংবাদিকদের বলেন, 'কিশোর গ্যাং হিসেবে নিজেদের আত্মপ্রকাশের জন্য তারা জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলো বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে, পাশাপাশি মাদক বা অন্যান্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তারা জড়িত কিনা এ বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
[৪] জানা গেছে, টিকটকের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা লাভ করা অপুর বাড়ির নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি। সেখান থেকে লাইকি অ্যাপের মাধ্যমে একটি প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে কিশোর ইয়াসিন আরাফাত। রঙিন চুলে ছোট ছোট ভিডিও তৈরী করে পরিচিতি লাভ করেন ‘অপু ভাই’। ব্যতিক্রম হাসি, রঙ-বেরঙের হেয়ারস্টাইল আর অদ্ভুত সব ডায়লগের জন্য টিকটক ও লাইকিতে আলোচনার তুঙ্গে ছিলো 'অপু ভাই'। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার লাখ লাখ অনুসারী। টিকটক আর লাইকির মাধ্যমে ভক্ত তালিকার কেউ কেউ হয়ে যান অপুর বান্ধবী। তাদের নিয়ে নতুন নতুন কনটেন্টও বানায় অপু।
[৫] লাইকি অ্যাপে তাকে অনুসরণ করে প্রায় ১০ লাখ। ইনস্টাগ্রামেও তার অনুসারী ছিলো। তবে প্রিন্স মামুন নামের আরেক 'লাইকি তারকা'র অনুসারীরা সেই ইনস্টাগ্রাম আইডি রিপোর্ট করে।
[৬] এদিকে প্রিন্স মামুনকে কিছুদিন আগেই দিয়াবাড়িতে মারধর করে কিছু তরুণ। এ ঘটনার সূত্র ধরে অপু ভাইয়ের অনুসারীরা তাকে মারধর করেছে বলে গুলিস্তানের একটি মার্কেটে অপু ভাইর দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়।
[৭] জানা যায়, নোয়াখালীর বার্বার শপে কাজ করা অপু 'অপু ভাই' নামে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেন লাইকি ও টিকটকে। অপু নিজেকে কখনো কুমিল্লা আবার কখনো নোয়াখালীর পোলা বলে পরিচয় দিলেও ঢাকার আশকোনায় থাকতো সে।
[৮] বোববার উত্তরায় রাস্তা আটকে টিকটক বানাচ্ছিলো অপু ও তার বাহিনী। এসময় পথচারীদের মধ্যে একজন তাদের সরে যেতে বললে অপুর সঙ্গে থাকা যুবকরা ওই ব্যক্তির গায়ে হাত তুলে। এক ব্যক্তিকে মারধরও করেন অপু। পরে ভুক্তভোগীর বাবা বাদি হয়ে অপুসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে উত্তরা মডেল থানায় মামলা করেন। এরপর সোমবার সন্ধ্যায় আলাউল এভিনিউ এলাকায় অভিযান চালিয়ে একজন সহযোগীসহ অপুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এসময় পুলিশের সামনে তার চুল ধরে টানাটানিসহ মারপিট করেন স্থানীয়রা।
[৯] মঙ্গলবার পুলিশ অপুকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঠায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। তবে আদালত রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন তাকে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :