ইসমাঈল ইমু : [২] অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের মা তার ছেলের ব্যাচমেটদের জানিয়েছেন, কক্সবাজার থেকে পুলিশ তাকে ফোন করে তার ছেলে সম্পর্কে বিভিন্ন খোঁজ খবর নিয়েছে। কিন্তু মৃত্যুর সংবাদ তাকে জানানো হয়নি।
[৩] সিনহার মা নাসিমা আখতার বলেন, আমার ছেলে বাস্তবের একজন নায়ক ছিল, সে সাহসের সঙ্গে মৃত্যুকে বরণ করেছে, সে কোনো কাপুরুষ ছিল না, সে একজন জাতীয় বীর ছিল।
[৪] তিনি বলেন, সে ছিল একজন সত্যিকারের প্রেরণাদাতা, আমাদের সব আত্মীয়, সব বন্ধু তার কাছ থেকে জীবনের উৎসাহ পেত। সে সব সময়ই হাস্যোজ্জ্বল এক চমৎকার মানুষ ছিল, যে সব সময়ই মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে এবং অন্যদের সুখী করতে চেষ্টা চালাত। অপরের সুখের জন্য জীবন উৎসর্গ করাই ছিল তার অন্যতম ব্রত।
[৫] সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস সাংবাদিকদের বলেন, ঈদের দিন সকাল ১১টার দিকে উত্তরা থানা থেকে পুলিশের কয়েকজন সদস্য তাদের বাসায় যান। তারা তার ভাই সম্পর্কে নানা প্রশ্ন করেন। ঘরে থাকা ছবিগুলোও দেখেন। তারা কনফার্ম হতে চেয়েছিলেন সিনহা আর্মিতে ছিল কি না। পুলিশ সদস্যরা ভাই সম্পর্কে নানা প্রশ্ন করলেও একবারের জন্য বলেনি যে সে আর নেই। ভাইয়ের বিরুদ্ধে মাদকের অভিযোগ আনা হয়েছে, কিন্তু সে তো জীবনে একটা সিগারেট পর্যন্ত খায়নি। সম্পাদনা: ইকবাল খান
আপনার মতামত লিখুন :