ইমরুল শাহেদ : [২] আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য মিয়ানমার পার্লামেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছেন অং সান সুচি। টাইমস অব ইন্ডিয়া
[৩] গত কয়েক দশকের সামরিক শাসনের মধ্যেই সুচি গণতান্ত্রিক প্রবক্তা হিসেবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনে তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেন। তারপরও জেনারেলদের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করতে বাধ্য হন তিনি।
[৪] রোহিঙ্গ মুসলিম নিধনকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুচি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন। কিন্তু তারপরও তিনি দেশে যথেষ্ট জনপ্রিয়। মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালানোর পরও তার দেশে তার ইমেইজ অক্ষুণ্ন আছে।
[৫] মঙ্গলবার তিনি রেঙ্গুনের শহরতলীতে প্রায় ৫০ জনের একটি সমর্থক দলের সঙ্গে কথা বলেন। তারা তার কাছে প্রার্থিতা চালিয়ে যাওয়ার আবেদন করেছেন। সুচির বর্তমান বয়স ৭৫ বছর।
[৬] সমর্থকদের কেউ কেউ লাল মাস্ক পরিছিলেন এবং সুচির ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির জন্য অকুন্ঠ সমর্থন ব্যক্ত করে শ্লোগান দেন : ‘মাদার সু, বি হেলথি।’
[৭] ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে। প্রাণ বাঁচাতে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। জাতিসংঘ তদন্ত প্রতিবেদনে সেনা বাহিনীর এই নির্যাতনকে ‘গণহত্যা বা জেনোসিডাল ইনটেন্ট’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :