বিশ্বজিৎ দত্ত : [২] এশিয়ান ডেভলাপমেন্ট ব্যাংকের হিসাবে বিশ্বে রেমিটেন্স কমেছে ১০৮.৬ বিলিয়ণ। জুনে বাংলাদেশে রেমিটেন্স এসেছে ২৬০ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে এটি রেকর্ড রেমিটেন্স। গত বছর এই সময়ে রেমিটেন্সের পরিমাণ ছিল ১৮৩ কোটি ডলার।
[৩] পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকও বলছে ঈদে তাদের রেকর্ড রেমিটেন্স এসেছে, তাদের রেমিটেন্সের পরিমাণ২৪৭ কোটি ডলার। গত বছরের এই সময়ে তাদের রেমিটেন্স ছিল ১৬ কোটি ডলার। এই হিসাবে পাকিস্তানের রেমিটেন্স বেড়েছে ৫০ শতাংশ।
[৪] ভারতে জুনে কত রেমিটেন্স এসেছে তার হিসাব কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেয়নি। তবে তারা বলেছে কোভিড কালিন গত ৪ মাসে তাদের রেমিটেন্স কমেছে ২৫ শতাংশ। ভারতে প্রতি বছর রেমিটেন্স আসে ৭৬ বিলিয়ন ডলারের। তাদের রেমিটেন্সের বেশির ভাগ আসে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে। আরবআমিরাত থেকে ভারতে রেমিটেন্স আসে ২০ বিলিয়ন ডলারের।
[৫] এডিবির হিসাবে রেমিটেন্স কমার পরেও বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে রেমিটেন্স বৃদ্ধির বিষয়ে উভয়দেশের অর্থনীতিবিদরাই বলছেন, কোভিড কালীন উদ্বেগ থেকে প্রবাসীরা ঈদে তাদের আত্মিয়দের কাছে একটু বেশি অর্থ পাঠিয়েছে। আবার যারা চাকুরি হারাচ্ছেন তারাও তাদের শেষ জমানো অর্থ নিয়ে দেশে ফিরছেন।
[৬] বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল বলছেন, হুন্ডি কমে যাওয়া ও রেমিটেন্সে প্রণোদনা দেওয়ায় রেমিটেন্স বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনার সময়ে আত্মিয়স্বজনদের একটু বাড়তি স্বস্তি দিতেও প্রবাসীরা বেশি রেমিটেন্স পাঠিয়েছে এটিও এশটি কারণ বলে তিনি জানান।
আপনার মতামত লিখুন :