ডেস্ক রিপোর্ট : দুই দফা বন্যায় দেশের ৩৪ জেলায় ১ লাখ ৬০ হাজার হেক্টর ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
সোমবার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল মুঈদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, বন্যায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ করছি; সেই সঙ্গে কৃষি পুনর্বাসনেও তৎপরতা নিচ্ছি। আজও মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হয়েছে। সব বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
তিনি জানান, প্রথম ধাপে ২৮টি জেলার প্লাবিত এলাকায় প্রায় ৩৪৯ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি নিরূপণ করা হয়েছে। এরপর বন্যা দীর্ঘায়িত হল। এ অবস্থায় দ্রুত একীভূত তথ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন আকারে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বন্যায় আউশ, আমন, সবজি, পাটসহ বেশ কিছু ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। বিকল্প বীজতলা তৈরি, ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে বিকল্প ফসলের চাষের ব্যবস্থা, নিয়মিতভাবে আবহাওয়া মনিটরিং ও ভবিষ্যত প্রস্তুতি নিয়ে ফসলের ক্ষতি মোকাবেলা করা হচ্ছে।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৭ সালের বন্যায় এবারের চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছিল। কারণ ওই বছর আকস্মিক বন্যায় বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছিল।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, আমাদের প্রধান ক্ষতিটা আমন বীজতলায়। অলরেডি আমরা বীজতলা দিয়েছি। যেসব জায়গায় বন্যা দীর্ঘায়িত হবে, সেসব জায়গায় কৃষকদের হাতে মাসকলাই বীজ দিতে কৃষি কর্মকর্তাদের হাতে তা পৌঁছানো রয়েছে।
তিনি বলেন, আমনের তিন ধরনের বীজতলা ৫ অগাস্ট থেকে ১৫ অগাস্টের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষ্য নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। যাদের শাক-সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তাদেরকে সহায়তা করা হবে।
বন্যা পুর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, অগাস্টের প্রথম সপ্তাহে পানি কমতে পারে ও দ্বিতীয় সপ্তাহে দেশের বন্যাকবলিত অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসার সম্ভবনা রয়েছে।বাংলা ট্রিবিউন, দেশ রূপান্তর
আপনার মতামত লিখুন :