মনজুর অনিক: [২] গুরুতর আহত কয়েক জনকে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। এসময় পুলিশ জেলা আওয়ামীলীগ নেতাসহ কয়েক জনকে আটক করেছে।
[৩] ঘটনাটি ঘটেছে রোববার রাত ১০ টায় নাসিক ৬ নং ওয়ার্ড সিদ্ধিরগঞ্জ আদমজী সুমিলপাড়া রেললাইন কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতির অফিসে। এসময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিনত হয়।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুরো এলাকা জুড়ে মোতায়েন করা হয় বিপুল পরিমান পুলিশ, র্যাব ও দাঙ্গা পুলিশ। এলাকার উত্তেজনা বিরাজ করছে। সে কোন মুহুত্বে আবারো সংর্ষষে জড়াতে পারে উভয় গ্রুপ।
[৪] প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানায়, আদমজী রেললাইন এলাকায় কেরাম খেলাকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাং লিডার একাধিক মারামারি মামলার আসামি সন্ত্রাসী পানি আক্তার ও শাকিল এর মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে উভয় গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় গ্রুপরে আয়নাল,আহসানউল্লাহ, রিদয়, সবুজ ইবরাহিম, রাসেল আহত হয়।
[৫] বিষয়টি সুষ্ঠু ভাবে সমাধানকল্পে নাসিক প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতির কার্যালয়ে দুই পক্ষকে ডেকে এ হামলার সুষ্ঠু বিচার করার আশ্বাস প্রদান করেন এবং সবাইকে এলাকার শান্তি শৃংঙ্খলা রক্ষায় শান্ত থাকতে অনুরোধ করেন। এসময় সন্ত্রাসী পানি আক্তার গ্রুপর চাপাতি, হকিস্টিক, রামদা, এসএস পাইপসহ হামলা চালানো হয়। পুরো এলাকা জুড়ে বিরাজ করে থমথমে পরিস্থিতি।
[৬] এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে র্যাব, পুলিশ, ও দাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত আসাদুল জানান, সিগারেট ধরানোর ম্যাচের জন্য এ হামলা হয়েছে। আলী ও আবুল শাকিলের সহযোগী। তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার উপর হামলা করেছে এবং দোকান ভাংচুর করে।
[৭] সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি অপারেশন রুবেল হাওলাদার জানান, রাতের সংঘর্ষের ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত ইশতিয়াক আশরাফ রাসেল জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। এ দের মধ্যে জেলা আওয়ামলীগের সদস্য মজিবুল মন্ডল রয়েছে। আর মামলার প্রস্তুতি চলছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :