রাশিদ রিয়াজ : [২] মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রে আয়ের ক্ষেত্রে যে বিরাট বৈষম্য রয়েছে শীঘ্রই এতে পরিবর্তন আনা হবে। বিশেষ করে কোভিডের সময় মার্কিন টেক বিলিওনারিদের বিপুল পরিমান সম্পদ লাভের বিষয়টি যে আয়ের ক্ষেত্রে এক বিরাট বৈষম্য সৃষ্টি করছে বিষয়টি সম্পর্কে একমত বলেও জানান ট্রাম্প। ডেইলি মেইল
[৩] বিজনেস ইনসাইডারের একটি প্রতিবেদনে বলা হয় এ্যামাজনের সিইও জেফ বেজোস বি সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এবং গত মার্চ থেকে জুনে তার সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৮ বিলিয়ন ডলার। তার মোট সম্পদের পরিমান ১১৭ বিলিয়ন ডলার। অথচ ৪০ মিলিয়ন বা ৪ কোটি মার্কিন নাগরিক কোভিডে বেকার হয়ে আছেন। ট্রাম্প বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদনটির উল্লেখ করে বলেন এধরনের অতিরিক্ত আয়ের বৈষম্য নিরসনে অবশ্যই কিছু করতে হবে।
[৪] কোভিড কালে মার্কিন কোটিপতিদের সম্পদের পরিমান বেড়েছে ৬৩৭ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু আয়ের ক্ষেত্রে মার্কিনীদের বিরাট বৈষম্য বরং অর্থনীতির জন্যে এক বিরাট হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। মার্কিন শীর্ষ কোটিপতিদের এধরনের আয়ের সমালোচনা চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।
[৫] মার্কিন আইনপ্রণেতারা উচ্চপর্যায়ের কংগ্রেশনাল হেয়ারিংয়ে অ্যামাজন, ফেসবুক, এ্যাপেল ও গুগলোর মত প্রযুক্তি কোম্পানির বিশাল আয় ও মার্কিন অর্থনীতিতে এর সংকটা নিয়ে আলোচনা করেন। কিন্তু মার্কিন বৃহত্তম প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর শক্তি ও সম্পদের কারণ তাদের ওপর দেশটির সরকারের কতটা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব সে নিয়েও বিতর্ক রয়েছে।
[৬] একই সঙ্গে মার্কিন সরকার বেকার ভাতা ও অন্যান্য সহায়তা প্যাকেজ দেয়ার কারণে চাপের মধ্যে রয়েছে। বেকারভাতা পেয়ে লকডাউন থেকে পুনরায় কাজে যোগদান না করায় অর্থনীতির চাকাও সচল করা সম্ভব হচ্ছে না।
আপনার মতামত লিখুন :