সারোয়ার জাহান: [২] মহামারি (কোভিড-১৯) করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মাঝে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা শনিবার (১ আগস্ট) মসজিদে মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় শেষে পশু কোরবানিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন । কাকডাকা ভোরে ঘুম ভেঙে পশুকে কোরবানি করার জন্য গোসল করিয়ে প্রস্তুত করে রাখা হয়।
[৩] এর আগে, ঈদের নামাজ পড়ার জন্য নিজেরাও গোসল করে জামা কাপড় পরিধান করে এবং আঁতর সুগন্ধি মেখে মসজিদের গেছেন। স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে নির্দিষ্ট দূরত্বে বসে এবং মাস্ক পরিধান করে মুসল্লিরা নামাজের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। মসজিদের ইমাম এ সময় খুতবা পাঠ করেন।
[৪] খুতবা পড়ার সময় কিভাবে কোরবানি করতে হবে, কোরবানির মাংস কিভাবে বিলিবণ্ঠন করতে হবে ইত্যাদি সম্পর্কে বয়ান করেন। এছাড়াও বয়ানে মহামারি করোনাভাইরাস ও চলমান বন্যা থেকে দেশবাসীকে রক্ষার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানান। নামাজ আদায় শেষে আল্লাহর কাছে দেশের মঙ্গল কামনায় মোনাজাত করা হয়।
[৫] অন্যান্য বছরের মতো এবার ঈদের নামাজ আদায় শেষে প্রচলিত রেওয়াজ অনুযায়ী কোলাকুলি করেননি। নামাজ আদায় শেষে মুসল্লিরা কোরবানির পশু জবাইয়ের ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
[৬] জাতীয় বায়তুল মোকাররম মসজিদের আজ সর্বমোট সাতটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য বছর পশু জবাই করা পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি পরিবারের শিশুরা উপস্থিত থাকলেও এবার ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় শিশুরা উপস্থিত ছিল না।
[৭] ইসলামের বিধান বলছে, কোরবানি না দিলে মুসলমানদের গুনাহ হবে৷ তবে কেউ যদি মনে করেন তার পক্ষে এই সময়ে কোরবানি দিলে শারীরিক সমস্যা বা অন্য কোনো ক্ষতি হতে পারে, তাহলে তিনি না-ও দিতে পারেন৷ কিন্তু পরে তাকে স্বাভাবিক সময়ে কাফফারা দিতে হবে৷ বাংলাদেশের ইসলামি চিন্তাবিদ ও মুফতিরা এমন মত জানিয়েছন৷
[৮] কিন্তু তারা মনে করেন, করোনাকালে দেশের সব মুসলমানের কোরবানি বাদ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই৷ কারণ মানুষ এই করোনার মধ্যে অফিসে যাচ্ছেন, বাজারে যাচ্ছেন৷ তবে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে যেহেতু মহামারি চলছে তাই কোরবানি দেওয়াসহ সব ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে বলে মনে করেন তারা ৷
আপনার মতামত লিখুন :