সমীরণ রায়: [২] কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে দেশের মানুষের জীবন যাপন বিপর্যস্ত। এরইমধ্যে দেশের প্রায় ৩১টি জেলায় দেখা দিয়েছে বন্যা। সঙ্গত কারণে মানুষের কাছে ঈদুল আজহার আনন্দ অনেকটাই মেলান হয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়েছেন হতদরিদ্র্য মানুষ। ফলে যারা রাজধানীতে থাকেন, তাদের বেশিরভাগ মানুষই যাচ্ছেন না বাড়িতে। মনে নাড়ির টান থাকলেও কোভিড-সংক্রমণের আশঙ্কা ও অর্থ সংকটের কারণে রাজধানীতেই সীমীত পরিসরেই ঈদ উদ্্যাপন করছেন হতদরিদ্র্যরা। একই সঙ্গে দেশের রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষও রাজধানীতে ঈদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আবার কেউ কেউ শত প্রতিকুলতার মধ্যেও নাড়ির টানে ছুটছেন বাড়ি। কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঝুঁকি থাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসগুলোকে চলতে হচ্ছে। এতে রাজধানীর বাসস্ট্যান্ডগুলোতে যাত্রী থাকলেও অন্য বছরের তুলনায় ভিড় নেই।
[৪] শুক্রবার রাজধানীর কল্যাণপুর-গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষমান যাত্রী থাকলেও খুব একটা ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি। সুপরিচিত বেশিরভাগ পরিবহনগুলোর অধিকাংশ টিকিটই এবার অনলাইনে বিক্রি হয়ে গেছে। সেসব কাউন্টারে তেমন হাঁকডাক নেই। তবে কম পরিচিত বাসগুলোতে তাৎক্ষণিক আসা যাত্রীদের টার্গেট করে টিকিট বিক্রির হাঁকডাক কিছুটা লক্ষ্য করা গেছে। যাদের বেশিরভাগই পরিস্থিতি বুঝে টিকিটের দাম নির্ধারণ করছেন। ফলে যাত্রাপথের শুরুতেই যাত্রীদের নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
[৫] গাবতলীতে যশোর বেনাপোল রুটের দেশ ট্রাভেলসের কাউন্টারে অপেক্ষমান যাত্রীদের কিছুটা ভিড় রয়েছে। ওই কাউন্টারে কর্মরত রাসেল জানান, পাটুরিয়া-দৌলদিয়া এবং যমুনা সেতুর আগে দীর্ঘ যানজট রয়েছে। তবে অন্যবারের তুলনা এবার যাত্রীর সংখ্যা তুলনামূলক কম। তারপরেও ভিড় বাড়ছে। ফলে নির্ধারিত সময়ে বাস আসা এবং ছেড়ে যেতে সমস্যা হচ্ছে। রাস্তা ঠিক থাকলে কোনো সমস্যাই হতো না।
[৬] কাউন্টারে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষমান সাতক্ষীরার যাত্রী লিয়ন বলেন, খুব ভোড়ে এসে কাউন্টারে বসে আছি। কিন্তু বাস আসেনি।
আপনার মতামত লিখুন :