সুজন কৈরী : [২] রাজধানীর পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দলের সঙ্গে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।
[৩] নিহত মহসিন পেশাদার খুনী ও চাঁদাবাজ ও শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং শাহাদত বাহিনীর ‘কন্ট্রাক্ট কিলার’ হিসেবে পরিচিত।
[৪] শুক্রবার সকালে র্যাব-৪ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম সজল বলেন, গোপন তথ্যে জানা যায়, দীর্ঘদিন ভারতে পলাতক মিরপুরের শাহাদাত বাহিনীর গ্রুপের সদস্য ও পেশাদার খুনী, চাঁদাবাজ এবং মাদক ব্যবসায়ীদের ৪ থেকে ৫ জনের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় গোপন আস্তানায় বিশিষ্ট কোনো ব্যক্তিকে হত্যার পরিকল্পনার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ওই তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা ৪০মিনিটে ব্যাটালিয়নের একটি আভিযানিক দল ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীদের খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে সড়কের ঢাল থেকে জঙ্গল ও ঝোপের ভিতর থেকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হঠাৎ র্যাব সদস্যদের লক্ষ করে গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। উভয় পক্ষের গোলাগুলির সন্ত্রাসী গ্রুপকে ধাওয়া করলে ৩ থেকে ৪ জন অন্ধকারে গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়। ঝোপের ভিতর তল্লাশীকালে একজনকে আহত অবস্থায় ১টি বিদেশী পিস্তলসহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে তার দেহ তল্লাশী করে তার প্যান্টের ডান পকেটে ১ হাজার ১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। পরে আহত ব্যক্তিকে এ্যাম্বুলেন্সে করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাত ৩টা ১০ মিনিটে মৃত ঘোষণা করেন।
[৫] স্থানীয় লোকজনকে মৃত ব্যক্তির ছবি দেখানো হলে অনেকেই তাকে শাহাদাত বাহিনীর শীর্ষ দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী মিরপুর পল্লবী এলাকার ৭ থেকে ৮টি খুনের মূল পরিকল্পনাকারী ও খুনী, চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ী মহসিন ওরফে কিলার মহসিন হিসেবে চিহ্নিত করে। স্থানীয়দের মৌখিক তথ্যের ভিত্তিতে এবং তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, নিহত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীর মূল নাম মহসিন ওরফে কিলার মহসিন অসংখ্য হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী।
[৬] সাজেদুল ইসলাম সজল বলেন, এ ঘটনায় র্যাবের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।