আরিফ জেবতিক: আমাদের সুশীল বিনোদনের বাইরে একটা প্যারালাল ইউনিভার্স আছে, যার খবর নাগরিক মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে রয়ে যায়। একটা মজার ঘটনা বলি। গায়িকা মমতাজকে প্রথম মধ্যবিত্ত শ্রেণির কাছে পরিচিত করে ভোরের কাগজ। সেই সময় আজকের খ্যাতিমান সাংবাদিক তানভীর তারেক এবং শেখ মনজু নামে আরেক পিচ্চি- এই দুজন হচ্ছে আমাদের মিউজিক বিটের কন্ট্রিবিউটর। এরা সারাদিন স্টুডিও পাড়ায় ঘুরে আড্ডা মারে আর মিউজিকের সংবাদগুলো করে। আমি শিওর না, (তানভীর তারেক বলতে পারবে সে না মনজু) এদের দুজনের কেউ একজন প্রথম জানালো যে, মমতাজ নামে একজন গায়িকা আছেন, যার ৫০০ ক্যাসেট বেরিয়ে গেছে)। শুনে আমি টেবিল থেকে প্রায় উল্টে পড়ে গিয়েছিলাম। তারপর তার সত্যাসত্য যাচাই করতে গিয়ে আমরা প্রায় ১শ ক্যাসেট কাভার যোগার করেছিলাম।
সঞ্জীবদার উৎসাহে মমতাজের উপর মেলায় বিশাল স্টোরি হলো, তারপর হানিফ সংকেত ভাই মমতাজকে পিক করে মধ্যবিত্তের কাছে পৌঁছে দিলেন। আজকাল টিকটক সেরকম একটা প্যারালাল ইউনিভার্স। সেখানে ১ মিলিয়ন ফলোয়ারের সেলিব্রেটি আছে, ট্রল করা ছাড়া যাকে আমরা চেনার কোনো কারণ নেই। অথচ তারা আছেন। তাদের নামে ফ্যান ক্লাব আছে, ফ্যান ভক্তরা তাদের দেখতে ভিড় জমিয়ে ফেলে- এগুলো সবই কিন্তু বাস্তবতা। তাদের আমাদের ছাচে ফেলার দরকার নেই। যতোক্ষণ শুধু আনন্দের মাঝে আছে, চলুক। আমি হিরো আলমকে কখনোই সিরিয়াসলি নিইনি, কিন্তু তাকে আমি ভালা পাই। এনথ্রোপলজির ছাত্ররা একই সমাজে প্যারালাল ইউনিভার্সের অস্তিত্ব নিয়ে গবেষণা করে আমাদের ব্যাখা হাজির করবেন একদিন। আমি শুধু সবাইকে ভালোবাসা জানিয়ে যাই। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :