ইয়াসিন আরাফাত : [২] আর মাত্র একদিন পরে পবিত্র ঈদুল আজহা। সরকার ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুরোধ উপেক্ষা করে ঈদ উদযাপনে বাড়ির পথ ধরেছে হাজারও মানুষ। তবে স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রেখে অধিকাংশই ব্যক্তিগত ব্যবস্থায় রওনা হয়েছেন বাড়ির পথে। আর এ সুযোগে বেশ ভালো ভাবেই জমে উঠেছে রেন্ট-এ-কার ব্যবসা। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই যাত্রীরা রওনা হচ্ছেন বাড়ির পথে।
[৩] ঢাকাসহ সারাদেশে এখন ব্যক্তিগত গাড়ি আছে সাড়ে ৩ লাখ। তবে এসব গাড়ির কতটা ভাড়ায় চলে তার সঠিক হিসেব বিভিন্ন চালক, গাড়ির মালিক ও রেন্ট-এ-কার সার্ভিসের মালিকদের সঙ্গে কথা বলে পাওয়া যায়নি। তারা জানিয়েছেন, তাদের ব্যবসায়টি স্বাধীন। গাড়ির মালিকরা নিজ দায়িত্বে গাড়ি পরিচালনা করেন। তাদের কোনও কেন্দ্রীয় মালিক সমিতি নেই।
[৪] ঢাকা থেকে বিভিন্ন শহরে ভাড়ায় চালিত এই সব প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসের ভাড়া প্রতি মালিকরা ঈদ মৌসুমে বাড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে গাড়ির মালিকরা দাবি করছেন, তারা মোটেও বেশি টাকা নিচ্ছেন না। অতিরিক্ত টাকাটা ড্রাইভারকে ঈদ বোনাস হিসেবে দিতে হচ্ছে। কারণ, এরকম কঠিন সময়ে কেউ তো আর জীবনের ঝুঁকি নিতে চায় না। আবার অনেক মালিক ফিরতি পথ খালি আসতে হবে এই অজুহাতও দিচ্ছেন।
[৫] বিভিন্ন গাড়ির মালিক ও চালকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দর কষাকষি করেই যাত্রীরা গাড়ি বুকিং করছেন। ভাড়া খুব একটা বেশি আদায় করা হচ্ছে না। তবে, ঈদের মৌসুম হওয়াতে হয়তো জায়গা ভেদে ১/২ হাজার টাকা বেশি নেয়া হচ্ছে।
[৬] রাজধানীর জিগাতলার রেন্ট-এ-কার ব্যবসায়ী মাহবুব বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে তাদের বাহন গুলোর চাহিদা বেড়েছে। গত তিন চার দিন ধরে কোনও গাড়ি বসে নাই। গাড়ি গুলো আরও ১ সপ্তাহ আগেই বুকিং হয়ে রয়েছে, ঈদের পরেও ঢাকায় ফেরার জন্য অনেকে গাড়ি বুকিং করে রেখেছেন। তিনি বলেন, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার। আমি ড্রাইভারদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পিপিই কিনে দিয়েছি, হ্যান্ড গ্লাভস ও মাস্ক দিয়েছি।
[৭] তবে ব্যবসা ভালো হলেও এই পরিস্থিতিকে জমজমাট বলতে নারাজ রেন্ট-এ-কার ব্যবসায়ীরা। ঢাকা শহরের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেছেন, অন্যান্য ঈদের আগে পরে মিলিয়ে ২০-৩০ টা ট্রিপ থাকতো। আর এখন কপালগুণে হচ্ছে মাত্র ১৫-২০টা। সব খরচ বাদ দিয়ে মালিকরা খুব বেশি লাভবান হচ্ছেন না বলে দাবি তাদের।
আপনার মতামত লিখুন :