রাশিদ রিয়াজ : [২] লাখ লাখ মার্কিনী নাগরিক বেকার, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিবিদরা এক বাক্যে স্বীকার করছেন ইতিহাসের সবচেয়ে নাজুক পরিস্থিতিতে পড়েছে মার্কিন অর্থনীতি তবে প্রযুক্তি মোগলরা তাদের আয়ের দিক থেকে সাড়ে ১১ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছেন। আরটি
[৩] ব্লুমবার্গ সূচক বলছে তাদের মোট আয় বিশ্বের ৫’শ ধনীর সম্পদের দ্বিগুণের কাছাকাছি পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ২০১৬ সালে তাদের সম্পদ ছিল ৭৫১ বিলিয়ন ডলার, এখন তা ১.৪ ট্রিলিয়ন ডলার। এদের আয় যে কোনো খাতের চেয়ে দ্রুত গতিতে ঘটেছে।
[৪] বিশ্বের ১০ জন ধনী লোকের সম্পদ এসেছে প্রযুক্তি খাত থেকে। এদের সম্পদের পরিমাণ ৬৬৬ বিলিয়ন ডলার। এবছর তাদের সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে ১৪৭ বিলিয়ন ডলার। ১০ শীর্ষ ধনীর মধ্যে যারা প্রযুক্তি খাতের বাইরে তাদের সম্পদ শুধু হ্রাস পেয়েছে। এদের মধ্যে আছেন বার্নার্ড আরনল্ট ও ওয়ারেন বাফেটও রয়েছেন।
[৫] মার্কিন গাড়ি তৈরি কোম্পানি টেসলার শেয়ারমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় এর মালিক এলন মাস্কের মোট সম্পদের পরিমান দাঁড়িয়েছে ৬৯.৭ বিলিয়ন, অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের সম্পদের পরিমান ৬৩.৬ বিলিয়ন ও ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গের সম্পদ রয়েছে ৯.১ বিলিয়ন ডলার।
[৬] শিকাগো বুথ স্কুল অব বিজনেসের ফিনান্সের অধ্যাপক লুইজি জিঙ্গালেস বলেন, নাটকীয়ভাবে ‘ব্রিক এন্ড মর্টার’ অর্থনীতি অনলাইন অর্থনীতিতে রুপান্তরিত হচ্ছে। এখন যা ঘটছে সপ্তাহে তা হয়ত বছরে ঘটত। অ্যাপেল, অ্যামাজম, অ্যালফ্যাবেট, ফেসবুক ও মাইক্রোসফট এই ৫ মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানির বাজার মূলধন মার্কিন অর্থনীতির গ্রস ডোমেস্টিক প্রডাক্টের ৩০ শতাংশ। ২০১৮ সালে এসব কোম্পানির মোট আয় ইতিমধ্যে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :