লিহান লিমা: [২] পুলিশ বলেছে, তাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। বয়স ১৬ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। নতুন আইনে হংকংয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদ, স্বাধীনতাকামী ও গণতন্ত্রপন্থী কার্যকলাপ, চীনা কর্তৃপক্ষের অবমাননা, ছাত্র-রাজনীতি এবং বৈদেশিক আঁতাত নিষিদ্ধ করে যাবজ্জীবন পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। দ্য গার্ডিয়ান
[৩] হংকংয়ের নবগঠিত ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইউনিটের কর্মকর্তা লি কেয়ুই-ওয়ে বলেন, আমরা তদন্ত করে দেখেছি গ্রেপ্তারকৃতরা সামাজিক মাধ্যমে হংকংয়ের স্বাধীনতার দাবিতে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠার ঘোষণা করেছে। নতুন আইনে যা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের ল্যাপটপ, ফোন, নথিপত্রসহ বহু ব্যক্তিগত জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
[৪] গ্রেপ্তারকৃতরা স্বাধীনতাপন্থী তরুণদের দল স্টুডেন্টলোকালিজমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে। গ্রেপ্তারের পর দলটি বলেছে, অভিযুক্ত টনি চাং তাদের দলের সাবেক নেতা। বেইজিং নিরাপত্তা আইন ঘোষণা করার পরে গত জুনে তাদের দলটি কার্যকলাপ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিলো।
[৫] হংকংয়ের তরুণ গণতন্ত্রপন্থী নেতা ও অধিকারকর্মী জশুয়া ওং বলেন, কয়েকদিন ধরে চাংকে অনুসরণ করছিল পুলিশ। জশুয়া অভিযোগ করেন, চাংকে ফেসবুক পোস্টে ‘চীনের জাতীয়তাবাদ’ নিয়ে লেখায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পরপরই তাদের ফোন হ্যাক করা হয়।
[৬] মূলভূমি চীনে অপরাধী বর্হিসমর্পণ আইনকে কেন্দ্র করে ২০১৯ সাল থেকেই আন্দোলনে উত্তাল ছিলো হংকং। গত জুনে চীনের আরোপিত এই আইনে নিষিদ্ধ হয়ে পড়ে সবধরণের বিক্ষোভ-প্রতিবাদ। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড এর প্রতিবাদে হংকংয়ের সঙ্গে বর্হিসমপর্ণ চুক্তি বাতিল করেছে। যুক্তরাষ্ট্র হংকংয়ের বিশেষ বাণিজ্যিক মর্যাদা রদ করেছে। যুক্তরাজ্য ৩০ লাখ হংকংবাসীর জন্য অভিবাসনের সুযোগ উন্মুক্ত করেছে এবং চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
[৭] ৯৯ বছরের লিজ চুক্তি শেষ হওয়ার পর ১৯৯৭ সালের জুলাইতে আগামী ৫০ বছর পর্যন্ত আধা-স্বায়ত্তশাসনের নিশ্চয়তা দেয়ার শর্তে হংকংয়ে চীনের কাছে প্রত্যপর্ণ করে ব্রিটেন। পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, চীন ‘এক দেশ, দুই নীতি’র স্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে। তবে চীন বলছে, এটি তাদের অভ্যন্তরীণ কার্যকলাপে হস্তক্ষেপ, যার কঠোর জবাব দেয়া হবে। সম্পাদনা: ইকবাল খান
আপনার মতামত লিখুন :