লাইজুল ইসলাম : [২] দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিদিন। এই হারও এখন উপরের দিকে। তবে শঙ্কার বিষয় দেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে শিশু কোভিড রোগি। এক সময় এটি তিন শতাংশ হলেও এখন তা ১০ শতাংশে পরিণত হয়েছে। প্রথম দিকে শঙ্কা না থাকলেও এখন ভয়ে আছেন অভিভাবকরা।
[৩] করোনা সংক্রমণের যে ধরণ ও মৃত্যুর হার তা থেকে মোটামুটি ধারণা করা যায়, সাধারণত বয়স্কদেরই এ রোগে আক্রান্তের হার বেশি। একারণে শিশুদের নিয়ে অনেকটা নিশ্চিন্তেই ছিলেন অভিভাবকরা। তবে ধারণার সাথে বাস্তবতার মিল নেই। বৃদ্ধি পাচ্ছে শিশু সংক্রমণ।
[৪] অভিভাবকরা বলছেন, কাজের জন্য ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে। কার থেকে কিভাবে সংক্রমিত হচ্ছে তা বোঝা যাচ্ছে না। আবার অনেকটাই বাদ্ধ হয়ে বাচ্চাদের বাইরে যেতে দিতে হচ্ছে। এতদিন বাচ্চাদের ঘরের মধ্যে আটকে রাখাও কঠিন। সেখান থেকেও কোভিড আক্রান্ত হতে পারে তারা।
[৫] রাজধানীর শিশু হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল ও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আলাদা শিশু কোভিড ইউনিট রয়েছে। শিশু সংক্রমণ বাড়ছে এ বিষয়ে শিশু হাসপাতালের পরিচালক ডা. শফি আহমেদ মুয়াজ বলেন, বাসা থেকে পরিবারের সবাই বের হয়ে গেছে। যারা বাইরে বেরিয়েছন তাদের কন্ট্রাক্টে এসে বাচ্চারা করোনায় সংক্রমিত হচ্ছে।
[৬] তিনি আরো বলেন, লক্ষন থাকলেও শুধুমাত্র না বুঝতে পারার কারণে ঝুঁকির মুখে পড়ছে শিশুরা। যেহেতু দেশে শিশু সংক্রমণের হার বাড়ছে তাই এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রতিটি বিভাগে একটি করে শিশু করোনা বিভাগ থাকা জরুরি।
[৭] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, শিশুদের জন্য একটা গাইডলাইন দেয়া আছে। আর হাসপাতালগুলোতে যদি প্রয়োজন পরে অবশ্যই আলাদা ইউনিট করা হবে। তবে এখন তো হাসপাতালেই সাধারণ করোনা রোগি কম।