শিরোনাম
◈ বাংলাদেশের রাজনীতির অবনতি দুঃখজনক: পিটার হাস ◈ সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়লো ১০ টাকা  ◈ নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান শিল্পমন্ত্রীর  ◈ প্রচণ্ড গরম থেকেই ঘটতে পারে মানবদেহের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ মিয়ানমারের আরও ১০ সেনা সদস্য বিজিবির আশ্রয়ে ◈ সয়াবিনের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির ◈ কেউ যেন নিরাপত্তাহীনতায় না থাকি, আইনের শাসনে জীবনযাপন করি: ড. ইউনূস

প্রকাশিত : ৩০ জুলাই, ২০২০, ০৯:৫৬ সকাল
আপডেট : ৩০ জুলাই, ২০২০, ০৯:৫৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১]রাজধানীতে অজ্ঞান পার্টির ৫৯ সদস্য গ্রেপ্তার, কোরবানির পশুর হাটকে কেন্দ্র করে তৎপর ছিল তারা

সুজন কৈরী : [২] বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. আবদুল বাতেন বলেন, বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ ১০ জন, গোয়েন্দা বিভাগের ওয়ারী জোন ১৬ জন, মতিঝিল ৯ জন, রমনা ৮ জন, লালবাগ ৮ জন ও তেজগাঁও জোন ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের কাছ থেকে ২৪০পিস চেতনানাশক ট্যাবলেট, ৪টি তরল মুভ স্প্রে বোতল, ৯টি মলমের কৌটা, ৭টি হারবাল পেইন কিলার, ৫টি চাকু, গুল, ৯ চেতনানাশক হালুয়াসহ মরিচের গুড়া ও জামবাগ উদ্ধার করা হয়েছে।

[৩] আব্দুল বাতেন বলেন, অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা চেতনানাশক ওষুধ বা লিকুইড কৌশলে চা, ডাব, পানীয় বা অন্যকোন খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে খাইয়ে সর্বস্ব লুটে নেয়। এছাড়াও তারা গুল, মরিচের গুড়া বা মলম চোখে মাখিয়ে মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। মানুষের সমাগম স্থানে এরা তৎপর থাকলেও কোরবানির পশুর হাটকে কেন্দ্র করে তারা তৎপর ছিল। গোয়েন্দা বিভাগ ২ থেকে ৩ দিন ধরে এদের ধরতে কাজ করেছে। আমরা আশা করছি অজ্ঞান পার্টির এই সদস্যরা গ্রেপ্তার হওয়ায় পশুর হাটের কেনাবেচা নিরাপদ হবে।

[৪] গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে ডিবি পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে চক্রটি রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমল, পশুর হাট, বাসস্ট্যান্ড, সদরঘাট ও রেলস্টেশন এলাকায় ব্যক্তিদের টার্গেট করে সখ্যতা স্থাপন করে। এরপর তাদের অপর সদস্যরা টার্গেট ব্যক্তিকে ট্যাবলেট মিশ্রিত খাদ্যদ্রব্যের আমন্ত্রণ জানায়। রাজী হলে তাকে খাবার খাওয়ায় এবং চক্রের সদস্যরা সাধারণ খাবার খায়। টার্গেট ব্যক্তি অচেতন হলে চক্রের সদস্যরা মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে দ্রুত চলে যায়। এক্ষেত্রে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা খাদ্যদ্রব্য হিসেবে চা, কফি, জুস, ডাবের পানি, পান, ক্রিম জাতীয় বিস্কিট ইত্যাদি ব্যবহার করে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়