শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ৩০ জুলাই, ২০২০, ০৯:৫৯ সকাল
আপডেট : ৩০ জুলাই, ২০২০, ০৯:৫৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফেরদৌস মুন্না: শফিউল বারী বাবু, একজন টোটাল পলিটিশিয়ানের অকালপ্রয়াণ

ফেরদৌস মুন্না: ১৯৯৬ তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর প্রথমে মুজিব হলে উঠি।আমরা উঠার অল্প আগে মুজিব হলে কর্তৃত্ব বদল হয়। একগ্রুপ থেকে অন্যগ্রুপ নিয়ন্ত্রন নেয়।আর সেজন্য ওই হলটা আবারও বেদখল হওয়ার সুযোগ থাকায় ২৪ ঘন্টা ক্যান্টনম্যান্টের আদলে পাহারা বসানো থাকতো।আমরা সিফট করে ডিউটি দিতাম। তখন অসীম ভাই ঢা্বি র আহবায়ক। উনি টপ পজিশনে ছিলেন তবে উনার হয়ে সব গ্রপটা মেইনটেইন করতেন বাবু ভাই।আমাদের তখন "ন্যাটা বাবু" গ্রপ হিসাবেই ট্রিট করতো। আমি একদিন রাতে ডিউটি দেওয়ার সময় সাথের বড় ভাইকে জিগ্গাসা করে বসি ভাই ন্যাটা বাবু কেন বলে উনাকে।উনি বলেছিলেন বাবু ভাই ছোটখাট মানুষ বিধায় উনাকে ন্যাটা বাবু বলে।। যাই হোক আমরা যখন উঠি তখন বাবু ভাই জেলে।

আমরা প্রতিটি প্রোগ্রামেই স্লোগান দিতাম "ছাত্রনেতা বাবু ভাই এর মুক্তি চাই দিতে হবে" "ছাত্রনেতা মানিক ভাই (বুস্টার/ওয়েস্টার্ন) এর,মুক্তি চাই দিতে হবে" উনাদের আমরা কখনোই সামনা সামনি তখনও পর্যন্ত দেখি নাই। পোস্টারে ছবি দেখে সাইজ তো বুঝা যেত না। যাি হোক কিছুদিন পর একদিন বিকালে আমরা সবাই গেলাম জেলগেট। বাবু ভাই মানিক ভাই বের হবে ওইদিন।আমার তো চরম আগ্রহ যার নামে এত স্লোগান দিলাম,পোস্টার চিকা মারলাম উনাকে দেখবো। ভাবনায় ছিল যার নামে তখন বাঘে মহিষে এক ঘাটে জল খায়, না জানি উনি দেখতে কেমন হবে? একটা সময় উনারা বের হলেন।

আমরা জেলগেট থেকে মিছিল নিয়ে ডাসে এসে দাড়ালাম। কিন্তু আমার সকল আগ্রহ ন্যাটা বাবু ভাইকে দেখবো। কিন্তু উনাকে তো পাচ্ছি না একজনকে বলে বসলাম কোনজন বাবু ভাই।? উণি দেখি্যে দেওয়ার পর আমি তো বেকুব হও্য়রারঔ অবস্হা! আল্লাহ এত ছোটখাটো মানুষটাই এতট আতঙ্কের? চরমভীতির কারনে উনার সাথে কথা বলারও সাহস কখনো হয় নাই।পরবর্তীতে দেখলাম শৌর্য বীর্য্যে,ব্যক্তিত্বে, নেত্ৃত্বের গুনাবলীতে উনি উনার আকারের টোটালী বিপরীতমুখী। আস্তে আস্তে বিশেষ করে পার্থ মার্ডারের পর বাবু ভাই এড সাথে কথা বলার সুযোগ পাই,মিশার সুযোগ পাই। উনার বোনের শাহজাহানপুর বাসায়ও টুকটাক যাওয়া পরে। যতই ঘনিষ্ট হয়েছি ততই অবাক হয়েছি উনার পারসোনালিটি দেখে।

ছাত্রনেতাদের কতশত বদনাম,ছেচড়ামির গল্প কিন্তু এই লোকটা দেখলাম এগুলোর ধারে কাছে নাই।অত্যন্ত ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন একটা লোক। একজন নেতা। যেমন মুডি তেমনি স্নেহপ্রবন।আমাকে উনি প্রায়ই খুব আন্তরিকতার সাথে "ফেরদৌস" ডাকতেন মাঝে মাঝে। আসলে বাবু ভাই এর এমন চলে যাওয়াটা টোটাল বিএনপির রাজনীতির জন্যই একটা বড় ধাক্কা।এমন নেতা সবসময় আসে না। আল্লাহ বাবু ভাইকে শান্তিতে রাখুক এইটাই এখন একমাত্র চাওয়া।
(ছবিটি বাবু ভাইকে যেদিন প্রথম দেখি সেদিনের)

ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়