শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ৩০ জুলাই, ২০২০, ০৭:৫২ সকাল
আপডেট : ৩০ জুলাই, ২০২০, ০৭:৫২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সড়কে অস্বস্তির ঈদযাত্রা

ডেস্ক রিপোর্ট: আসন্ন ঈদুল আজহায়ও মানুষ করোনাঝুঁকির মধ্যেই ছুটছেন গ্রামের বাড়ি। সরকারি হিসাবে আজ ঈদপূর্ব শেষ কর্মদিবস। তার আগেই মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে বাড়ি যেতে শুরু করেছেন। করোনার ঝুঁকি ও বৃষ্টির কারণে এক ধরনের অস্বস্তি নিয়েই মানুষ রওনা হন গ্রামের বাড়িতে। আসন ফাঁকা রেখে গাড়ি ছাড়লেও স্বাস্থ্য-সুরক্ষা মানার প্রবণতা কমই দেখা গেছে। নগরীর বেশিরভাগ বাস টার্মিনাল ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়েছে। তবে এবারের ঈদে অতিরিক্ত যাত্রীর প্রবণতা তুলনামূলক কম মনে হয়েছে।

গতকাল রাজধানীর সায়েদাবাদ, মহাখালী ও গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, অনেকে কোলে শিশু আর কাঁধে ব্যাগ নিয়ে ছুটেছেন গ্রামের বাড়িতে। ঈদুল ফিতরে বাড়ি যেতে না পারায় অনেকে এবার বাড়ি যাচ্ছেন বাড়তি আনন্দে। তবে চোখে-মুখে রয়েছে আতঙ্ক আর শঙ্কা। বৈশ্বিক মহামারী করোনায় আক্রান্ত না হন সেই প্রত্যাশা করছেন বাড়ি ফেরা মানুষ। গতকাল দেখা গেছে, সড়কপথে ঈদযাত্রায় বাসে ভিড় কম। একটি আসন ফাঁকা রেখে গাড়ি চালানোর চেষ্টা করছেন পরিবহনকর্মীরা। কিছূ কাউন্টারে অবশ্য এর ব্যত্যয় ঘটছে। তবে আগের তুলনায় যাত্রী কম এমনটিও মনে করছেন পরিবহনকর্মীরা। ভাড়া সরকার নির্ধারিত হারে আদায় করা হচ্ছে বলে দাবি পরিবহনকর্মীদের। তবে যাত্রীদের অভিযোগ, পাশাপাশি আসনে বসিয়েও আগের তুলনায় দ্বিগুণ হারে ভাড়া আদায় চলছে। পাশাপাশি আসনে বসার ব্যাপারে

জিজ্ঞেস করলে বলা হচ্ছে একই পরিবারের তাই এভাবে বসিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আগে বাসের সহকারীর হাতে জীবাণুনাশক স্প্রে থাকত। এটির দেখা মেলেনি অনেক বাসে। দূরপাল্লার বাসে এই বিধি মেনে চলার ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করলেও সাড়া কম। করোনার পর বাস চলাচল শুরু হওয়ার পর পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে জোর দিয়েছিলেন পরিবহনকর্মীরা। বাসমালিক ও বিআরটিএর পক্ষ থেকেও তাগিদ ছিল। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন গুরুত্ব কমছে।

এখন দেখা যাচ্ছে, মানুষ তার সচেতনতার জায়গা থেকে সরে আসছে। নেই এনফোর্সমেন্টের কার্যকরি ব্যবস্থা। অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে যাত্রীরা উচ্চবাচ্চ করলেও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গা ছাড়া ভাব। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। কাউন্টারে টিকিট না থাকারও অভিযোগ আছে। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বাইরে এমন অভিযোগ এসেছে কল্যাণপুরের উত্তরাঞ্চলগামী বাস থেকে। সব কিছু ছাপিয়ে সামনে চলে এসেছে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি। শুধু নামি কোম্পানির বাসে কিছুটা স্বাস্থ্যবিধি মানার চেষ্টা করা হচ্ছে এবারের ঈদযাত্রায়। কিন্তু সাধারণ বাসে নিয়মের বালাই নেই। হাতে গ্লাভস, মুখে মাস্ক ব্যবহার করতে চান না চালক-সহকারীরা।

এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সতর্কতার সঙ্গে যাতায়াতে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা সোচ্চার হবেন এমনটিই আশা করি। কারণ করোনায় যাত্রী বা পরিবহনকর্মী যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন।যুগান্তর, প্রিয়ডটকম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়