শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ৩০ জুলাই, ২০২০, ০২:৫২ রাত
আপডেট : ৩০ জুলাই, ২০২০, ০২:৫২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] লক্ষ্মীপুরে কামারশালায় নেই কর্মব্যস্ততা

জাহাঙ্গীর লিটন, লক্ষ্মীপুর: [২] টানতো হাপর, পুড়তো কয়লা, জ্বলতো লোহা। হাতুড়ির আঘাতে আঘাতে তৈরী হতো দৈনন্দিন জীবনে কাজের উপযুক্ত দ্রব্য সামগ্রী ছুরি, হাসুয়া, কাছি, দা, বটি, চাপাতিসহ ধারালো সব যন্ত্রপাতি।

[৩] লক্ষ্মীপুরের সদরসহ পাঁচ উপজেলার বাজারগুলোতে কামারশালাগুলো এখন মুসলমানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় উৎসব কুরবানীর ঈদকে সামনে রেখে হাতুড়ি আর লোহার টুং টাং শব্দে মুখরিত ছিলো। কিন্তু করোনা মহামারী কারণে সেই শব্দগুলো এখন আর শুনা যায় না।

[৪] প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিরামহীনভাবে জ্বলত কামার দোকানের চুলার আগুন। তাই কয়লার চুলায় দগদগে আগুনে গরম লোহার পিটাপিটিতে টুং টাং শব্দে মুখর হয়ে থাকত কামার শালাগুলো। আর সামনে আগুনের শিখায় তাপ দেয়া হাতুড়ি পেটানোর টুং টাং শব্দে তৈরি হচ্ছে দা-বটি, চাপাতি ও ছুরি। তাই যেন দম ফেলার সময় ছিলনা কামারদের। নাওয়-খাওয়া ভুলে দিন রাত কাজ করতেন কামাররা।

[৫] কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে যেতেন তারা। সারা বছর তেমন কাজ না থাকলেও কুরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে কয়েকগুণ ব্যস্ততা বেড়ে যেত কামারদের কিন্তু এবার করোনা ভাইরাসে কারণে তেমন কোন কাজ নাই বেচা বিক্রি নেয় বললে চলে। করোনার কারনে এবার কুরবানি কম হবে মনে হচ্ছে। এ কারনে কামারদের নেই কোন কাজ ও ব্যবসা বাণিজ্য।

[৬] লক্ষ্মীপুরের পৌর শহরের গোডাউনরোড এলাকার কামার প্রদ্বীপ কর্মকার, অমিরত কর্মকার, শিপু কর্মকারের সাথে কথা বলে জানাযায়, কয়েকজন কামারের সাথে কথা বলে জানা যায়, কুরবানির ঈদ উপলক্ষে কয়লা ও শ্রমিকের মূল্য বেড়ে গিয়েছে। আগে প্রতি বস্তা কয়লার দাম ছিলো ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। সেই কয়লা এখন আমাদের ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। তাই আমরা চাপাতি, ছুরি ও দায়ের দাম একটু বেশি নিচ্ছি। তা না হলে আমাদের লাভ হবে না।

[৭] এছাড়া লক্ষ্মীপুর সদরসহ রায়পুর, রামগঞ্জ, কমলনগর ও রামগতি উপজেলার কামারদের সাথে কথা বললে তারা জানান, বর্তমানে কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে কামারদের নেই ব্যস্ততা। পশু জবাইয়ের সরঞ্জামাদি কিনতেও লোকজনের ভিড় নেই দোকানে। অন্য কুরবানির ঈদে যেমন শ্রমিক বেশি লাগত এই ঈদে তেমন শ্রমিক লাগছে না। এজন্য প্রায় বেশির ভাগ শ্রমিকরা অবসর সময় পার করছেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়