রাশিদ রিয়াজ : [২] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে থাকায় বিশ্ববাজারে ডলারের প্রভাবশালী ভূমিকা বিপদজনক অবস্থায় পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাক হুঁশিয়ার করে বলেছেন এ কারণেই স্বর্ণের চাহিদা দিনকে দিন বাড়ছে এবং ডলারের পরিবর্তে স্বর্ণের মজুদের দিকে নজন দেয়ায় ধাতবটির দামও বাড়ছে। আরটি
[৩] গোল্ডম্যানের নীতি ও কৌশল নির্ধারকরা বলছেন ডলারের আসল বিপদ হচ্ছে মার্কিন এই মুদ্রাটি মজুতমুদ্রা হিসেবে টিকে থাকবে কি না সে নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। বরং স্বর্ণকে মজুদের ব্যাপারে বিশে^র বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিরাপদ স্বর্গ হিসেবে ভাবছে।
[৪] এ পরিস্থিতির কারণ হিসেবে তারা বলছেন যুক্তরাষ্ট্রে সরকারের ঋণের পরিমান দেশটির মোট দেশজ উৎপাদনের ৮০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। সরকার ও ফেডারেল রিজার্ভের উদ্যোগ মুদ্রাস্ফীতিকে আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। কারণ কোভিড পরিস্থিতি সামাল দিতে ট্রাম্প সরকার ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন সহায়তা দিচ্ছে, এজন্যে ডলার ছাপতে হচ্ছে কিন্তু উৎপাদনশীলতা সক্রিয়া হয়ে না ওঠায়, মানুষ আশানুরুপভাবে কাজে ফের যোগদান না করায় অর্থনীতি তার গতি ফিরে পারছে না। আর স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসলে ইতিমধ্যে মার্কিন সরকারের জমে থাকা ঋণের বোঝা কমাতে যেয়ে মুদ্রাস্ফীতি আরো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
[৫] বিশেষ করে কোভিডের দ্বিতীয় দফা ধাক্কায় ডলারের অবমূল্যায়নে ফের হুমকির সৃষ্টি করেছে যা রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাও সৃষ্টি করতে পারে। প্রখ্যাত মার্কিন অর্থনৈতিক বিশ্লেষক পিটার ডেভিড স্কিফ বলছেন স্বর্ণের বাজার চাঙ্গা হওয়ার মধ্যে ডলার যে পড়তে যাচ্ছে তা স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
[৬] বিশ্লেষকরা আরো বলছেন সর্বকালের সুদের হার হ্রাস করার পরও অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়ে ওঠায় স্বর্ণকেই সর্বশেষ বিকল্প মুদ্রা মজুদের আশ্রয়স্থল হিসেবে মনে করছে অনেক দেশ। ফলে গত মাসে স্বর্ণের মূল্যসূচক ৭ শতাংশের বেশি বাড়লেও ডলারের ক্ষেত্রে তা কমেছে ৩.৭ শতাংশ।
আপনার মতামত লিখুন :