তাজুল ইসলাম, বোয়ালখালী প্রতিনিধি : [২] বোয়ালখালী নুরুল ইসলাম চেয়ারম্যান সড়কে ২৭ বছরেও সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি। পৌর এলাকার ৯নং ওয়ার্ডের সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারবিহীন পড়ে থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে হাজারো মানুষ।
[৩] পরিদর্শনে দেখা যায়, সড়কের বিভিন্ন স্থানে ইট-সুড়কি উঠে গিয়ে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলে সড়কটি পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তখন যানবাহতো দুরে থাক পায়ে হেটে চলাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।
[৪] সড়কটি দিয়ে গাউছিয়া হক ভান্ডারী ইসলামিক ইনস্টিটিউট দাখিল মাদরাসার প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থীর অধিকাংশ চলাফেরা করে। এছাড়াও রয়েছে ৩টি মসজিদ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার লোকের চলাচলের একমাত্র সড়কটি এটি।
[৫] স্থানীয় বাসিন্দা বেলাল মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন বলেন, প্রায় ৫ হাজার মানুষের চলাচলের এই সড়কটি দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে অযত্নে অবহেলায় সংস্কার বিহীন পড়ে আছে। সংস্কার না হওয়ায় জনসাধারণকে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ চাকুরীজীবী ব্যবসায়ীরা এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকেন। তাই সড়কটি দ্রুত মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করার জোরদাবী জানান তিনি।
[৬] গাউছিয়া হক ভান্ডারী ইসলামিক ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আলহাজ্ব নুরুল করিম নুরু বলেন, ১২০০ মিটারের এই সড়কটি ১৯৯৩ সালে সংস্কার হওয়ার পর দীর্ঘ ২৭ বছরেও আর কোন সংস্কার হয়নি। ২০১৮ সালে তৎকালিন স্থানীয় সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন খান বাদল সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবং এলজিআরডি মন্ত্রনালয়ে ডিও লেটার পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি হঠাৎ মৃত্যুবরণ করায় নতুন সড়ক নির্মাণে আর অগ্রগতি হয়নি। যথাযথ কর্তৃপক্ষ সড়কটি সংস্কার করে দ্রুত যান ও চলাচলে উপযোগী করে গড়ে তুলবেন এমনটি প্রত্যাশা তাঁর।
[৭] ইঞ্জিনিয়ার শাহরিয়ার ইমরান রাশেদ বলেন, চেয়ারম্যান সড়কটি। বছরের পর বছর এলাকার মানুষদের শুধু আশারবানি শুনিয়ে যায় জনপ্রতিনিধিরা। পরিদর্শনকালে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে। হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরমেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর সুদৃষ্টি কামনা করছি।
[৮] উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. ফারুক বলেন, তৎকালিন সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন খান বাদল থাকাকালিন সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো তিনি হঠাৎ মারা যাওয়াতে তা আর করা সম্ভব হয়নি। এরপর সকল কাজ সম্পন্ন করে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছিলো কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন হয়ে যাওয়াতে তাও বন্ধ হয়ে যায়। এখন মাননীয় সাংসদের সাথে কথা বলে আবারও মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
[৯] পৌর মেয়র হাজী আবুল কালাম আবু বলেন, সড়কটি সংস্কারে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, মাননীয় সংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমদ এর সহযোগীতা পেলে আশা করছি খুব শীঘ্রই তা দ্রæত সময়ের মধ্যে সংস্কার করা সম্ভব হবে। সম্পাদনা : হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :