শিরোনাম
◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ২৯ জুলাই, ২০২০, ০৯:০৩ সকাল
আপডেট : ২৯ জুলাই, ২০২০, ০৯:০৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] জীবননগর শিয়ালমারী পশুহাটে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্য বিধি করোনা-ঝুঁকিতে ক্রেতা-বিক্রেতা

জামাল হোসেন, জীবননগর : [২] দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম বৃহত্তম পশুহাট চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার শিয়ালমারী। সপ্তাহের বৃহস্পতিবার পশু বেচাকেনার জন্য দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গরু, মহিষ, ছাগল এবং ভেড়া ইত্যাদি আমদানি হয়ে থাকে। দেশের বিভিন্ন স্থানের ব্যাপারীরা এ সব পশু কিনে নিয়ে যায়। সরকার এ পশুহাট প্রতি বছর মোটা অংকের রাজস্ব আদায় করে থাকেন।

[৩] কিন্তু স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নেই তেমন কোন ব্যবস্থাপনা। করোনা পরিস্থিততেও স্বাস্থ্য বিধি মানতে তেমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। হাতে গোনা কিছু ক্রেতা- বিক্রেতা মুখে মাস্ক ব্যবহার করলেও তা অধিকাংশের থুঁতনিতে দেখা যায়। আর সামাজিক দুরত্বের তো বালাই নেই। হাট মালিকের পক্ষে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের জন্য রাখা হয়নি কোন সুযোগ। ফলে ক্রেতা-বিক্রেতা সবাইকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে বেচাকেনা করতে হচ্ছে।

[৪] সরজমিনে একাধিক পশু ক্রেতা-বিক্রেতা ও অন্যান্য ব্যবসায়ির সাথে কথা বলে জানা যায়,হাট মালিক খাজনা আদায় নিয়ে ব্যস্ত থাকলে হাটে আগতদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তেমন কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি। ফলে সবাইকে ঝুঁকি নিয়েই কাজ করতে হচ্ছে। পুরো হাট খুঁজে কোথাও হ্যান্ড স্যানিটাইজার খুঁজে পাওয়া যায়, যা পাওয়া যায় তা সকাল ওগারটার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। এতদিন হাট না জমলেও কোরবানি রেখে প্রয়োজনের তাগিদে মানুষ অনেকটাই ঝুঁকি নিয়ে হাটে পষু কেনাবেচা করতে আসছে। কিন্তু আগত ক্রেতা-বিক্রেতাদের অধিকাংশের নেই কোন মাস্ক। হাট মালিকের পক্ষ থেকে একদিন স্বল্প সংখ্যক মাস্ক বিতরন করা হলেও তা ছিল আইওয়াশ মাত্র।

[৫] গরু ব্যাপারী মুকবিল হোসেন বলেন, আমরা শিয়ালমারী পশুহাটে আসি ঠিকই কিন্তু চরম ঝুঁকি নিয়ে হাটের মধ্যে ঘুরাঘুরি করতে হয়। হাটের মধ্যে সামাজিক দুরত্ব বলতে যা বোঝাই তার কোন কিছুই এ হাটে নেই। হাটের মধ্যে লোকজন গিজগিজ করে,পা ফেলার জায়গা থাকে না। হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিংবা মাস্ক ব্যবহারে কোন কড়াকড়ি আরোপ নেই যে যার মত করে পারলে ব্যবহার করছে। শিয়ালমারী পশুহাট থেকে ছোট- বড় মিলে প্রায় ২০০-২৫০ ট্রাক পশু দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হয়। লাখ লাখ রাজস্ব আদায় করলেও হাটে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নেই কোন ব্যবস্থা। অসুস্থ্য, বয়ন্ক এবং ছোটদের হাটে প্রবেশ নিষেধ থাকলে তা মানতে দেখা যাচ্ছে না।

[৬] হাট মালিকের পক্ষে সোহরাব হোসেন খান বলেন, স্বাস্থ সুরক্ষা নিশ্চত করতে আমরা সব ধরনের চেষ্টা করে যাচ্ছি কিন্তু অনেকের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বোধ না থাকায় অবহেলা করে নিয়ম-নীতি মানছে না।

[৭] উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম মুনিম লিংকন বলেন, হাটে যারা টোল আদায়ের দায়িত্বে আছেন, ক্রেতা বিক্রেতা যাতে হাটে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলেন সে ব্যাপারে ব্যাপক মাইকিং করতে, মাস্ক বিতরন, হাটের প্রবেশ মুখে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিতকরন ও মাস্কবিহীন কাউকে হাটে প্রবেশ না করাতে কড়া নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া উপচেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব কিছুই মনিটরিং করা হচ্ছে। সম্পাদনা : হ্যাপি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়