মো. রাইসুল, কামারখন্দ প্রতিনিধি : [২] সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার ৩৯ বছরেও চালু হয়নি অপারেশন থিয়েটার। এতে গরীব ও জরুরী অপারেশনের রোগীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। অপারেশন থিয়েটারের জন্য চিকিৎসক জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি), জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ও জুনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেসথেসিয়া) না থাকায় নষ্ট হচ্ছে অপারেশন থিয়েটারের প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকার সকল যন্ত্রপাতি।
[৩] উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, তৎকালীন স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী অধ্যাপক এম.এ মতিন ১৯৮১ সালের ১১ জানুয়ারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন। পরে প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হাসপাতালের একটি নতুন ভবন তৈরি করে ২০১৪ সালের ৪ এপ্রিল হাসপাতালটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করণের উদ্বোধন করেন সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের বর্তমান জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না। নবনির্মিত ভবন তৈরি ও ৫০ শয্যায় হাসপাতাল উন্নীত করার ওই বছরই নতুন ভবনে স্থাপন করা হয় অপারেশন থিয়েটার ও প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হয় অপারেশন থিয়েটারের জন্য। অপারেশন থিয়েটারের জন্য নির্ধারিত চিকিৎসক না থাকায় ক্রয়কৃত যন্ত্রপাতির বেশির ভাগ নষ্ট হওয়ার পথে। এই হাসপাতালে অপারেশনের ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে অতিরিক্ত ফি দিয়ে অপারেশন করতে হচ্ছে অনেক রোগীর। বিশেষ করে জরুরী অপারেশনের রোগীদের দুর্ভোগ বেশি পোহাতে হচ্ছে।
[৪] হাসপাতালে আসা সুরাইয়া বেগম নামে একজন রোগীর স্বজন জানান, মেয়েকে সন্তান প্রসব করানোর জন্য হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলাম। নরমালে সন্তান প্রসব না হওয়ায় সিজারিয়ানের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই হাসপাতালে সিজারিয়ানের ব্যবস্থা না থাকায় কষ্ট করে সিরাজগঞ্জ শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে সিজার করানো হয়েছে।
[৫] উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফারুক হোসেন জানান, অপারেশনের জন্য পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি থাকলেও আবশ্যিক পদে চিকিৎসক না থাকায় অপারেশন থিয়েটার চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। অপারেশনের সাথে সম্পৃক্ত চিকিৎসকদের শূন্য পদের তালিকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবর একাধিক বার প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও অপারেশনের জন্য কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসক পাওয়া যাচ্ছে না। সম্পাদনা : হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :