শিরোনাম
◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক

প্রকাশিত : ২৯ জুলাই, ২০২০, ০৮:৩৯ সকাল
আপডেট : ২৯ জুলাই, ২০২০, ০৮:৩৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাসুদ রানা: শেখ হাসিনা নন সীতা অরক্ষিতা, সাবধান ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদ!

মাসুদ রানা: শেখ হাসিনা বাংলার স্বৈরশাসক হলেও, কোনোক্রমেই রামায়ণের সীতা নন, যাঁকে একদিকে ভারতের মিডিয়া-কথিত "লক্ষণ রেখা" দিয়ে বন্দিনী রাখা এবং অন্যদিকে সে-রেখা অতিক্রম করলে হরণ করা যায়।

তোমরা রাম-লক্ষণই হও কিংবা হনুমানই হও, ১৬ কোটির বাংলাদেশ জয় করার মতো লঙ্কাদ্বীপ নয়, যদিও আমাদেরও আছে কয়েকটি বিভীষণ। সেটি সামলে নেবো আমরা অনায়াসেই।

তোমাদের অনুমতি নিয়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধ করেনি বাঙালী। আমেরিকাও স্বাধীনতার যুদ্ধে সাহায্য নিয়েছে ব্রিটেইন শত্রু ফ্রান্সের। শত্রুর শত্রু বন্ধু হয় বটে সঙ্কটে; কিন্তু প্রকৃত বন্ধুত্ব হয় পারস্পরিক শ্রদ্ধায় ও মর্য্যাদার সাম্যে।

বন্ধুত্ব কাকে বলে তোমরা তা জানো না। তাই, আজ চারপাশে তোমাদের কোনো বন্ধু নেই। পাকিস্তান তোমাদের জন্মশত্রু; চীন তোমাদের শিয়রে দাঁড়ানো মৃত্যদূত; নেপাল তোমাদের ঘৃণা করে; ভূটান তোমাদের পছন্দ করে না; শ্রীলঙ্কায় তোমাদের ভাত নেই; আর বার্মা চলে চীনের কথায়।

আমাদের স্বাধীনতার যুদ্ধে সাহায্য করার জন্যে ভারতীয় জনগণের কাছে চিরকৃতজ্ঞ আমরা; কিন্তু সে-কারণে কোনোক্রমেই ভারতীয় শাসকগোষ্ঠীর ক্রীতদাস নই। এ-সত্যটি কখনও ভুলে যেওনা কয়েকটি পদলেহী বিভীষণের আচরণে।

ভুলে যেওনা, ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত বুঝে পাক-হানাদার বাহিনী তোমাদের বিরুদ্ধে 'যুদ্ধ ঘোষণা' করেছিলো বাঙালীর কাছে পরাজিত হওয়ার গ্লানি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য।

কিন্তু পড়ে দেখো ১৬ই ডিসেম্বরের 'ইনস্ট্রুমেণ্ট অফ সারেণ্ডার'। হানাদার পাক-বাহিনীকে আত্মসমর্পণ করতে হয়েছিলো বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ বাহিনীর কাছ - শুধু ভারতের কাছে নয়।

মনে রেখো, বাংলার বাঘ কখনও হনুমানের ভেংচি দেখে ভয় পায় না। যেদিন তোমরা বাংলাকে সিকিম মনে করে হাত বাড়াবে, সেদিনই ভারত-সাম্রাজ্যের মৃত্যু ঘণ্টা বাজবে।

সুতরাং, সাবধান হে ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদ!

২৮/০৭/২০২০ লণ্ডন, ইংল্যাণ্ড

ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়