তৌহিদ এলাহি : [২] স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে দেখা করে বেসরকারি অভিযানের নামে হয়রানি বন্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সহায়তা চেয়েছিলেন বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকের মালিকরা। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদেরকে বলেছেন, সুর্নিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযান চলছে এবং চলবে।
[৩] হাসপাতাল, ক্লিনিকসহ স্বাস্থ্যখাতের অনিয়ম তদন্তে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সোমবার বলেছেন, ‘যেখানেই অন্যায় হবে, সেখানেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[৪] জেকেজি-রিজেন্টের পথ ধরে একের পর এক বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকের প্রতারণার ঘটনা উন্মোচিত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ করে র্যাবের অভিযানে তাদের প্রতারণার নাটকীয় সব ঘটনা সামনে চলে আসছে। আর এতেই চিকিৎসার নামে বছরের পর বছর ধরে প্রতারণা করে আসা স্বাস্থ্য খাতের রাঘববোয়ালরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
[৫] এরই মধ্যে প্রভাবশালী একটি চক্র চলমান অভিযান থামানোর মরিয়া চেষ্টা শুরু করেছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ে লবিং চালাচ্ছে তারা। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের পরিবর্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অভিযোগ ওঠা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
[৬] স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, জেকেজি-রিজেন্টকাকাণ্ডে ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলমান অভিযান অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :