রফিকুল ইসলাম: [২] গাইবান্ধায় সবগুলো নদীর পানি কিছুটা কমলেও ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি এখনও বিপদসীমার অনেক উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
[৩] এ দিকে প্রায় এক মাস ধরে বন্যার পানি আটকে থাকায় উপদ্রুত এলাকার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দিনমজুর এবং স্বল্প আয়ের লোকজন চরম দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। যেসব পরিবার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও বিভিন্ন উঁচু স্থানে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে তারা বাড়ি ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।
[৪] জেলার ৪টি উপজেলার ৬৫টি চরাঞ্চলের বসতবাড়িগুলো দীর্ঘদিন বন্যার পানিতে নিমজ্জিত থাকায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং ঘরের বেড়া, খুটি, টিনের চাল খুলে পানিতে ভেসে যাচ্ছে। এতে বসতবাড়ি হারিয়ে বিপাক পড়েছে বন্যা কবলিত কর্মহীন পরিবারগুলো।
[৫] বেসরকারি সংস্থাগুলো এখন পর্যন্ত কোন ত্রাণ তৎপরতা শুরু করেনি। এদিকে সরকারি ত্রাণ তৎপরতা নিতান্তই অপ্রতুল। ফলে বন্যা কবলিত পরিবারগুলো চরম দুর্ভোগের কবলে পড়েছে। এছাড়া বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে বিশুদ্ধ পানির অভাবে পানিবাহিত রোগ, আমাশয়, সর্দি-কাশি, জ্বর, হাপানির প্রকোপ দেখা দিয়েছে।
[৬] পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, মঙ্গলবার ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৭০ সে.মি. এবং ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ৫২ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে করতোয়া ও তিস্তা নদীর পানি এখনও বিপদসীমার নিচে রয়েছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :