মুরাদ হাসান : [২] তৃতীয় দফা বন্যায় কুড়িগ্রামের দুই পৌরসভা ও ৫৬টি ইউনিয়নে ১মাস ধরে খাদ্য, বাসস্থান, গো-খাদ্য, পয়ঃনিষ্কাশন, বিশুদ্ধ খাবার পানি ও চলাচলের রাস্তা তলিয়ে থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন আড়াই লাখ মানুষ।
[৩] গাইগান্ধার ২ লক্ষাধিক মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের নিজেদের সঞ্চিত খাদ্য শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ চাহিদার তুলনায় অনেক কম।
[৪] লালমনিরহাটে পানি কমলেও নদীভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। বসতভিটা, ফসলি জমিসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
[৫] তিনদফায় বন্যায় সিরাজগঞ্জ জেলার পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটছে বানভাসীদের।
[৬] রাজবাড়ীতে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। পদ্মার পানি বিপৎসীমার ১১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার চার উপজেলার ৭০ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।
[৭] শরীয়তপুরে ২ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। দুর্গত এলাকায় চলছে ত্রাণের জন্য হাহাকার। ঢাকা-শরীয়তপুর মহাসড়কের ১৩ স্থান বন্যার পানিতে তলিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
[৮] মাদারীপুরের ৪টি উপজেলার নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদের পানি বেড়ে যাওয়ায় চরাঞ্চলসহ বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব, মুরাদ হাসান
আপনার মতামত লিখুন :