রাজু চৌধুরী : [২] মঙ্গলবার সিএমপি এর অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মো: আব্দুর রউফ জানান, আসামীরা চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থান সহ সমগ্র বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় চেতনানাশক ঔষধ প্রয়োগের মাধ্যমে সিএনজি ও সাধারণ মানুষের মালামাল ছিনতাই করে থাকে।
[৩] আসামিরা হলো, আবু তাহের রকি (৩০), মোঃ সিরাজ (৫৫), মোঃ মোজাম্মল হক রাসেল (২৮), কাজী নজরুল ইসলাম প্রকাশ ফয়সাল (৩০), মোঃ আজিজুল হক (৪৫), এবং মোঃ রাশেদ প্রকাশ সোহেল (২৮) সিরাজ চট্টগ্রামে অজ্ঞান পার্টির লিডার হিসেবে কাজ করে। তারা সহজ সরল মানুষদেরকে প্রথমে টার্গেট করে গতিবিধি লক্ষ্য করে পিছু নেয়। একপর্যায়ে কথা বলতে বলতে কিছুটা ঘনিষ্ঠ হয়ে গেলে একপর্যায়ে চা বা জুস খাওয়ার অফার করে কৌশলে উক্ত চা বা জুসের মধ্যে চেতনানাশক ঔষুধ মিশিয়ে খেতে দেয়। ঐ ব্যক্তি যখনই ঘুমিয়ে পড়ে তখনই মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়া চলে যায়। অথবা কোন ব্যক্তি যদি কিছু না খায় সেক্ষেত্রে তাদের চোখে ঝান্ডু বাম বা চেতনানাশক ঔষুধ মিশ্রিত মলম লাগিয়ে দিয়া ব্যক্তির নিকট থাকা সর্বস্ব ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
[৪] এসি (কোতোয়ালী ) নোবেল চাকমা বলেন আসাামীদের জিজ্ঞাসাবাদেে জানা গেছে,,তাদের ১৪টি গ্রুপ আছে। মূলত বাস ষ্ট্যান্ড, মার্কেট সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান নেয়। ঘটনাস্থলের আশেপাশে আগে থেকেই তাদের যানবাহন ঠিক করা থাকে। এই কাজে তারা কখনো কখনো নিজেদের সাথে অস্ত্র বিশেষ করে অত্যাধুনিক টিপ ছোরা, হাত ব্যাগ ও উহার ভিতর, গুলের কৌটা, গুলের কৌটার ভিতর ঘুমের ঔষুধের গুড়া, ঝান্ডু বাম, মলম বহন করে।
[৫] কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই মোঃ মোমিনুল হাসানের নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে কোতোয়ালী থানাধীন পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে। তিনি আরও জানান, এই চক্র দীর্ঘদিন ধরে নগরীতে ছিনতাই সহ নানা অপরাধকর্ম করে আসছে। তারা মূলত ইশারা ইঙ্গিতে এক অপরের সাথে যোগাযোগ করে। তারা একদিনে ৪/৫টি ঘটনা সংঘটিত করে কিছুদিনের জন্য নিরব হয়ে নিজ নিজ বাসা বাড়ী হতে দূরে অবস্থান করে। ছিনতাইকৃত টাকা পয়সা শেষ হয়ে গেলে তারা পুনরায় একত্রিত হয়ে নতুন করে পরিকল্পনা করে। এই প্রক্রিয়ায় আসামীরা দীর্ঘদিন ধরে নগরীতে ছিনতাই করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :