সমীরণ রায় : [২] বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এক বিবৃতিতে আরও বলেন, উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানি বাংলাদেশে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, মেঘনা, মহানন্দা, পদ্মা, তিস্তা ও ধরলা নদীর অববাহিকায় ইতোমধ্যে প্রায় ৩৪টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উত্তরাঞ্চলে রংপুর বিভাগ ও রাজশাহী বিভাগের প্রায় সব জেলা, জামালপুর, ময়মনসিংহ, সুনামগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ জেলা ইতোমধ্যে বন্যাকবলিত হয়েছে।
[৩] তারা বলেন, দেশের অধিকাংশ অঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় দুর্গত মানুষ অসহায় অবস্থায় বাড়ি-ঘর ছেড়ে রাস্তায়-বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। গবাদিপশুর মৃত্যু হয়েছে। শাসকগোষ্ঠী একেবারেই উদাসীন। করোনার সঙ্গে এই বন্যা জনজীবনে ভয়াবহ দুর্যোগ সৃষ্টি করেছে।
[৪] তারা আরও বলেন, করোনা ও বন্যায় বিপর্যস্ত মানুষকে বাঁচাতে প্রয়োজন সরকারের কার্যকর উদ্যোগ। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। বরং সরকারের মন্ত্রীরা করোনার মতো বন্যা মোকাবেলায় ‘লিপ সার্ভিস’ দিয়ে যাচ্ছে। ফলে জনগণের চরম দুর্দিনেও সরকার অসহায় ও দিশেহারা। এ অবস্থার দ্রুত অবসানের কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে বাংলাদেশে মানবিক বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।
[৫] মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :