সোহেল রানা: [২] কমলগঞ্জের ব্যক্তি মালিকানাধীন দলই চা বাগান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে বাগান কর্তৃপক্ষ। উৎপাদন ও অফিস কার্যক্রমে বাগানের কতিপয় শ্রমিক ও কর্মচারীর বাধা প্রদানের অভিযোগ তুলে সোমবার রাতে কারখানার অফিসের নোটিশ বোর্ডে নোটিশ টাঙিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাগান বন্ধের এ ঘোষণা দেন। এ ঘোষণায় চা বাগানের সাধারণ চা শ্রমিকদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দিলে বাগানের নিরাপত্তায় ৩ প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
[৩] মঙ্গলবার সকাল থেকে কড়া পুলিশী বেস্টুনীর মধ্যেও বাগানের প্রধান অফিসের সামনে অবস্থান করে বাগান বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবী জানান সাধারণ চা শ্রমিকরা। এ সময় পুলিশ কর্মকর্তা কমলগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত সুধীন চন্দ্র দাস অবস্থান কর্মসূচি পালনকারী চা শ্রমিকদের সাথে কথা বলেন। তিনি আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের কথা জানিয়ে চা শ্রমিকরা কর্মসূচি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানালে চা শ্রমিকরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।
[৪] দলই চা বাগানের শ্রমিকরা জানান, সোমবার সারাদিন বাগানের সেকশনে তারা চা পাতা উত্তোলনসহ সকল কাজ করেন। কিন্তু সন্ধ্যা পর রহস্যজনক ভাবে চা বাগান কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বাগান বন্ধের ঘোষণা দেন।
[৫] বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-ধলই ভ্যালীর (অঞ্চলের) কার্যকরি কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাম পাইনকা বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই রহস্যজনকভাবে সোমবার সন্ধ্যার পর নোটিশের মাধ্যমে দলই চা বাগান কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য চা বাগান বন্ধ ঘোষণা করেছে। যা শ্রম আইনের পরিপন্থী। স্থানীয় মাধবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানু বলেন, শ্রমিকরা নিয়মিত চা পাতা উত্তোলনসহ উৎপাদন কাজ অব্যাহত রাখার পর শ্রম আইনের ১৩ ধারার সম্পূর্ণ অপ প্রয়োগ করে কর্তৃপক্ষ চা বাগান বন্ধ ঘোষণা করেছে।
[৬] বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রামভজন কৈরী বলেন, ব্যক্তি মালিকানাধীন দলই বাগানের শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে বাগান ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলামের সাথে শ্রমিকদের দেন দরবার চলছিল। শ্রমিকদের কণ্ঠরোধ করার জন্য ব্যবস্থাপক দমন পীড়ন শুরু করলে শ্রমিকরা ব্যবস্থাপকের অপসারণ দাবি করেন। এক পর্যায়ে বাগান ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলামকে সাময়িক প্রত্যাহার করে নেয় কর্তৃপক্ষ। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :