সাবিনা শারমিন: কিছু কিছু মানুষ গোলোযোগ, দুর্যোগে বা যুদ্ধের জন্য ওঁৎ পেতে বসে থাকে যেন খুব আরাম করে ঘর পোড়ার মধ্যে আলু পোড়া দিয়ে খাওয়া যায়। আম পাবলিকের সেই দুঃসময়ে তারা অন্যের জমি, ঘরবাড়ি, সম্পদ হরিলুট করে সুচতুরভাবে নিজের দখনে নিয়ে নেয়। করোনার এই দুর্যোগে এরকম কিছু মানুষ হয়তো করোনাকে ব্যবসার মোক্ষম সুযোগ ভেবেই আঙ্গুল ফুলিয়ে কলাগাছ বানাতে চেয়েছে। চারদিকের অবস্থা দেখে এটিই মনে হচ্ছে। নকল মাস্ক সরবরাহকারী নতুন আমদানি ব্যক্তি শারমিন জাহান মেয়েটি আমার বিশেষ পরিচিত। ২০১৩ সালে বিমান থেকে সাভারের বিপিএটিসিতে TOT ট্রেইনিং করতে গেলে তার সাথে পরিচয় হয়। আমাদের সাথে এই মেয়েটি ঢাবি থেকে ট্রেনিংয়ে এসেছিলো। আমরা বিশ বাইশজন একসাথে লেখাপড়া, খাওয়া দাওয়া ঘুম, গান বাজনা,মেডিটেশন করেছি। হালকা পাগলাটে অস্থির মেয়েটিকে খেয়াল করেছিলাম অন্যদের চেয়ে কিছুটা বেশি কথা বলে। আমার ধারণা ছিলো বেশি কথা বলা মানুষগুলো সহজ সরল হয়। কথায় কথায় গান গাওয়া সেই মেয়েটির এরকম বাজে একটি পরিচয় পাবো এমনটি ভাবতে খারাপ লাগছে।
তার ফেসবুকে গিয়ে দেখলাম পিএইচডি স্টুডেন্ট, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রোফাইল পিকচার, মাথায় হিজাব আবার আওয়ামী লীগের বিরাট নেত্রী। অথচ সে নকল মাস্ক সাপ্লাই দিয়েছে। এতোসব গুণের সমাহারে একজন মানুষ হিসেবে ন্যূনতম মোরাল স্ট্যান্ডার্ড সে অর্জন করেনি। এটি ভীষণ লজ্জার বিষয়। করোনার এই দুর্যোগে রাতারাতি মানি মেকিং এর জন্য যদি তাকে এই পন্থাই অবলম্বন করতে হয়, তবে পিএইচডি, হিজাব আর আর আওয়ামী নেত্রীর তকমা লাগানো কেন? আর শারমিনতো ঢাবির সহকারী রেজিস্টার। তাহলে চাকরি করে ব্যবসা করার অনুমতি তাকে কে দিলো? অবাক লাগে, একজন মানুষের এতো কিছু লাগে? মস্তিস্ক ভরা বাটপারি আর দুর্নীতি নিয়ে এরা মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করে। এদের পিএইচডি দিয়েই বা জাতী কি করবে আর হিজাব দিয়েই বা কোনো দুস্কর্ম ঢাকবে? নকল মাস্কয়ের বিষয়টি সত্যি হলে শারমিনের মতো অতি আদরে লালিত হওয়া এই করাপ্টেড নেতা নেত্রীদের বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বল করতে হবে। শেইম অন ইউ শারমিন জাহান। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :