লুৎফর রহমান হিমেল: এ দেশে আলোচনার জন্য সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু হলো বাকস্বাধীনতা। সারাদিন যারা বাকস্বাধীনতার কথা বলেন, দেখা গেছে তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলে বক্তা উল্টো মামলা খেয়েছেন। এমনকি বসের সমালোচনা করে চাকরিও গেছে অনেক মতপ্রকাশকের। স্বাধীন মতপ্রকাশ নিয়ে যারা সবচেয়ে বেশি সোচ্চার, সেই মিডিয়া কর্তাদের মধ্যেই নেই সহনশীলতা। অন্যের মতপ্রকাশকে সম্মান করতে না পারলে তাদের উচিত না এ ব্যাপারে কথা বলা। এ বিষয়ে কথা তারাই বলবে, যারা স্বাধীন মতপ্রকাশকে সম্মান করেন, এমনকি ওই মতপ্রকাশটা তার নিজের বিরুদ্ধে গেলেও। স্বাধীন বাংলাদেশে মওলানা ভাসানী ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় সমালোচক। অথচ মুজিব সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত অবস্থাতেও মওলানার সাথে দেখা করে শেখ মুজিব কথা বলতেন, তাকে প্রতি মাসে টাকা, লুঙ্গি, ওষুধপত্রও পাঠাতেন।
স্বাধীন মতপ্রকাশ মানবের স্বাভাবিক গুন। এটির পক্ষে থাকবার জন্য যারা কথা বলেন, তারা অবশ্যই সাধারণ মানুষ, সমাজ ও রাষ্ট্রের ভালোর জন্যই কথা বলেন। কিন্তু তাদের আগে সহনশীল হতে হবে। না হলে তাদের কথার গুরুত্ব কেউ দেবে না। দার্শনিক ভলতেয়ার যেমনটা বলে গেছেন, ‘তোমার মতের সঙ্গে আমি হয়তো একমত না-ও হতে পারি, কিন্তু তোমার মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য আমি আমার জীবন পর্যন্ত উৎসর্গ করে যাবো।’ ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :