মিনহাজুল আবেদীন : [২] বন্যার্তরা সাময়িক পানিবন্দি অবস্থা থেকে কিছুটা মুক্তি পেলেও এখন ভাঙা বাড়িঘর ও সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
[৩] এখন পর্যন্ত কুড়িগ্রামে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩৭ জন। মারা গেছেন ৬ জন এবং আইসোলেশনে রয়েছেন ২০৭ জন।
[৪] জানা গেছে, কোভিডে প্রথমদফা বন্যায় ৯টি উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের মোট ১৬ হাজার ১০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত এবং ১১ জন পানিতে ডুবে মারা যায়। দ্বিতীয় দফা বন্যায় ৫৬টি ইউনিয়নে ৬৩ হাজার ১৩০টি পরিবার পানিবন্দি হয়েছে বলে জানানো হয়। বন্যায় পানিতে ডুবে মারা যায় ৮ জন। সর্বগ্রাসী বন্যায় ৩২টি পয়েন্টে সাত কিলোমিটার নদীভাঙন হয়েছে। বন্যায় বীজতলা, আউশ, পাট, মরিচ ও শাকসবজির ক্ষতি হয়েছে প্রায় সাত হাজার ৭৬৭ হেক্টর জমিতে।
[৫] জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, বন্যার্তদের সহযোগিতায় রেসকিউ টিম, ৪৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র, ৩৬টি গুচ্ছগ্রাম, ২৪টি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ব্যারাক প্রস্তুত করা হয়। স্বাস্থ্যবিভাগ থেকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ১০টি এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ৭৫টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য থেকে দুটি মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, ১৬০টি নলক‚প পরিদর্শন, দুটি নলক‚প স্থাপন, চার হাজার ২৭০টি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ৬৮টি হ্যারিকেন সরবরাহ করা হয়।
[৬] বর্তমানে ১৩২টি আশ্রয়কেন্দ্রে তিন হাজার ৮৫৬টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। সৃষ্ট বন্যায় এখন পর্যন্ত ৫৬ হাজার পরিবারকে ত্রাণসামগ্রী দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ঈদ উপলক্ষে চার লাখ ২৮ হাজার ৫২৫টি পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।