বাশার নূরু: [২] হেলমেট ছাড়া হোন্ডা চালানো দণ্ডনীয় হলে হোন্ডা ছাড়া কেউ যদি খালি হেলমেট বহন করে, তাকে দণ্ড দেওয়া যাবে না কেন? এরকম একটা কৌতুক চালু রয়েছে। কৌতুকটা যোগীর রাজ্যে সত্যি হয়েই ঘটল। তবে এ ক্ষেত্রে গ্রেপ্তার হলো ছাগল, নিরীহ এক ছাগল। ছাগলটা রাস্তা দিয়ে হাঁটছিল, আচমকা পুলিশ এসে গ্রেপ্তার করে বসল ওটাকে। অপরাধ? না, ছাগলটার মুখে দাড়ি ছিল, কিন্তু মাস্ক ছিল না। এই ভয়াবহ করোনাকালে এমন ‘ভয়ঙ্কর’ অপরাধ করলে পুলিশ তাকে ছাড়ে কী করে!
[৩] ভারতের কানপুরের বিকনগঞ্জের পুলিশ ছাগলটিকে ধরে নিয়ে জিপে করে পুলিশ স্টেশন নিয়ে যায়। ছাগলটির মালিক বিষয়টি জানতে পারলে তিনিও পুলিশ স্টেশনে পৌঁছে যান। শেষ পর্যন্ত অনেক কাকুতি-মিনতি করার পর ছাগলটিকে মালিকের কাছে ছেড়ে দেয় পুলিশ। পাশাপাশি তাকে সতর্কও করা হয় যে এভাবে রাস্তা ঘাটে ছাগল ঘুরে বেড়ালে চলবে না। এরপর থেকে যেন এমন ঘটনা না ঘটে। পুলিশের তরফে যদিও জানানো হয়েছে, তারা টহল দেওয়ার সময় একটা ছেলেকে মাস্ক না পরে ছাগল হাতে রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখে। পুলিশকে আসতে দেখেই ছাগল ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ছেলেটা। সে কারণেই পুলিশ ছাগলটিকে পুলিশ স্টেশনে তুলে নিয়ে আসে৷
[৪] কিন্তু ছাগলটিকে থানায় নিয়ে গিয়ে কী লাভ হলো, তা অবশ্য বলেনি পুলিশ। অবশ্য ভারতে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে হু হু করে। সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে অনেক চেষ্টা করেও কোনও লাভ হচ্ছে না। এখনও এমন অনেকেই আছে, যারা রাস্তায় মাস্ক না পরেই বেরিয়ে পড়ছে। সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সে জন্যই দেশের প্রায় সব রাজ্যেই আরো কড়া হতে বাধ্য হচ্ছে পুলিশ। মাস্ক না পরলে বা লকডাউনের নিয়ম ভাঙলে অনেককেই গ্রেপ্তারও করছে। কিন্তু তাই বলে একটা ছাগলকেও গ্রেপ্তার করতে হলো তাদের! সূত্র: সমকাল
আপনার মতামত লিখুন :