যশোর প্রতিনিধি: [২] মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার বুনোগাঁতি গ্রামের মৃত খন্দকার আব্দুল ওহাবের ছেলে মতিয়ার রহমান বাদি হয়ে শনিবার রাতে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন।
[৩] মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হচ্ছে চট্রগ্রাম সিটি করপোরেশন সিঙ্গার শো রুম মিরপাড়ার মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে বর্তমানে শহরের মোল্লাপাড়া ঢাকা রোড মীম ওয়ার্কসপের আনোয়ার হোসেন বাবুল (৫০) মোল্লাপাড়া ঢাকা রোডের ইকরামুল ইসলাম (৫০) ও মোল্লাপাড়া ঢাকা রোড বাঁশতলা মসজিদের পাশের আজিজের ছেলে শরীফ হোসেন (৪২)।
[৪] মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, মতিয়ার রহমান মাগুরা বুনোগাঁতি বিশেষ শিক্ষা প্রতিবন্দি বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। প্রতিবন্দি বিদ্যালয়ের নামে ক্রয়কৃত পিকআপ (যশোর-ন-১১-০৪০৭) গত ৯ ফেব্রুয়ারি মীম ওয়ার্ক সপে মেরামত করতে দিই। পিকআপ মেরামতের জন্য ১ লাখ ১০ হাজার টাকা চুক্তি হয়। চুক্তি মোতাবেক ওই দিন নগদ ৬০ হাজার টাকা আসামিদেরকে প্রদান করি। এসময় কাপুর নামে একজন উপস্থিত ছিলেন।
[৫] টাকা নেয়ার সময আসামিরা মীম ওয়ার্ক সপের একটি মেমো দেয়। মেমোতে আসামি আনোয়ার হোসেন বাবুল স্বক্ষর করে। গাড়িটির মূল ব্লু-বুক, ইন্সুরেন্সসহ যাবতীয় কাগজপত্র রেখে দেয়। এক মাসের মধ্যে পিকআপটি মেরামত করে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় এসে চুক্তির বাকি ৫০ হাজার টাকাও পরিমোধ করি ও মেমোর পিছনে লিখে রাখি। চুক্তি মোতাবেক পিকআপ নিতে আমি ও আমার ছেলে তানভির খন্দকার তুহিন গত ২০ জুলাই বেলা ১২ টার দিকে মীম ওয়ার্কসপে গেলে আসামিরা গাড়িটির কাজ করেনি বলে জানায়।
[৬] আমি ও আমার ছেলে গাঁড়িটি চেক করার সময় দেখি পিকআপের বিভিন্ন পাটর্স পত্র নেই। গাঁড়ির ইঞ্জিন, ব্যাটারিসহ অন্যান্য মালামাল আনুমানিক মূল্য ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার মালামাল আমাকে না জানিয়ে কৌশলে চুরি করে বিক্রি করে দিয়েছে। আমি টাকা ও গাঁড়ি ফেরত চাইলে আসামিরা আমাকে হুমকি দেয়। গাড়ি, কাগজপত্র, ও টাকা ফেরত দেয় না।
[৭] বর্তমানে গাড়িটি মীম ওয়ার্কসপে পড়ে আছে। টাকা, গাড়ি ও কাগজপত্র ফেরত না পেয়ে আমি কোতয়ালি থানায় মামলা করি। এ বিষয়ে জানার জন্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই জাকির হোসেনের ০১৭২২৮৯৭৪৬৩ নম্বর মোবাইলে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :