শিরোনাম
◈ পাকিস্তানের মুশতাক আহমেদ বাংলাদেশের নতুন স্পিন কোচ ◈ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কারিকুলাম যুগোপযোগী করার তাগিদ রাষ্ট্রপতির ◈ ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনা, সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন ◈ সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণেই সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে: মির্জা ফখরুল ◈ বাংলাদেশের রাজনীতির অবনতি দুঃখজনক: পিটার হাস ◈ সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়লো ১০ টাকা  ◈ নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান শিল্পমন্ত্রীর  ◈ প্রচণ্ড গরম থেকেই ঘটতে পারে মানবদেহের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৭ জুলাই, ২০২০, ০২:২০ রাত
আপডেট : ২৭ জুলাই, ২০২০, ০২:২০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] মোবাইল ফোনের জন্য খুন হয় মায়ামীর হোটেলের কর্মচারী জোবায়ের

মাহফুজ নান্টু: [২] শনিবার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আটক ঘাতকরা আদালতে খুনের কথা স্বীকার করেন। মামলার দায়িত্ব পাওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই অভিযান চালিয়ে ঘাতকদের আটক করেন গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক পরিমল দাশ।

[৩] জানা যায়, গত ২৯ মে লকডাউনের পর পুনরায় কাজের উদ্দেশ্যে নিজ বাড়ি সুনামগঞ্জ থেকে বিকাল ৫টায় আলেখারচর মায়ামী হোটেলে আসে জোবায়ের। হোটেলের কাজ শেষে রাত ১০ টায় জমজম হোটেল থেকে রাতের খাওয়া দাওয়া শেষে আলেখারচর মায়ামী হোটেলে আসার সময় কোকা-কোলা কোম্পানীর কাছে আসলে একদল ছিনতাইকারী তার গতিরোধ করে। এ সময় ছিনতাইকারীরা জোবায়েরের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। বাধা দিলে জোবায়েরকে ছুরিকাঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই জুবায়েররে মৃত্যু হয়।

[৪] এ ঘটনায় জোবায়ের এর পিতা তাজির উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

[৫] পরে গত ২০ জুলাই কোতয়ালী থেকে মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশে হস্তান্তর হয়। মামলার তদন্তভার পরে গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক পরিমল দাশের উপর। পরে দায়িত্ব পাওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই ক্লু-লেস মামলার আসামী গ্রেফতার করে খুনের রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক পরিমল দাশ। আটক আসামিরা হলেন সদর দক্ষিণ উপজেলার আশ্রাফপুর ইয়াছিন মার্কেট এলাকার মৃত আবু জাহেরের ছেলে মো. ইকবাল হোসেন ও দেবিদ্বার উপজেলার মাশিঘারা এলাকার মৃত সাত্তার মিয়ার ছেলে মো. নূরে আলম।

[৬] মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিমল দাশ জানান, হত্যার ঘটনাটি রহস্যঘেরা ছিলো। তেমন কোন ক্লু ছিলো না। পরে আমাদের পুলিশ সুপার মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় এবং আমাদের গোয়েন্দা বিভাগের অফিসার ইনচার্জ মহোদয়ের সার্বিক সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতা নেই। পরে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করি। পরে আসামীদেরকে আদালতে সোর্পদ করি।

[৭] পরে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা মোবাইল ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ভিকটিমকে ছুরিকাঘাতসহ হত্যা কথার স্বীকার করে। এছাড়াও ঘটনায় জড়িত অন্য আসামীদের নাম প্রকাশ করে। ঘটনায় জড়িত অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়