শিরোনাম
◈ ১৭ বিয়ের ঘটনায় মামলা, সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কু.পিয়ে হ.ত্যা ◈ বাংলা‌দেশ হারা‌লো আফগানিস্তানকে, তা‌কি‌য়ে রই‌লো শ্রীলঙ্কার দিকে  ◈ রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ঋণের চাপে আত্মহত্যা, ঋণ করেই চল্লিশা : যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ একযোগে এনবিআরের ৫৫৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ আবারও রেকর্ড গড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা ◈ ভারতের নেপাল নীতিতে 'রিসেট বাটন' চাপলেন মোদি, শিক্ষা বাংলাদেশের কাছ থেকে ◈ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বিএনপি ◈ প্রথমবারের মতো জাপানের রাজনৈতিক দলের নেতা হবে AI

প্রকাশিত : ২৭ জুলাই, ২০২০, ০১:১১ রাত
আপডেট : ২৭ জুলাই, ২০২০, ০১:১১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রবাসীদের জিম্মি ও ভিসা বাণিজ্যর অভিযোগ

ইসমাঈল ইমু : [৩] দূতাবাসের কল্যাণ সহকারী তৌহিদুল ইসলাম মজুমদার, ফরিদ হোসেন ও আনোয়ার সাদাতের রিরুদ্ধে ড্রাইভিং লাইসেন্স, আউট পাস, ভিসা সত্যায়ন ও আকামা নবায়নের ক্ষেত্রে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

[৪] দুর্নীতি দমন কমিশনে একাধিক ভুক্তভোগীর করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, কোন প্রবাসী টাকা দিতে রাজি না হলে পুলিশে দিয়ে হয়রানি এবং দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হতো। ভুক্তভোগীদের বাংলাদেশে থাকা আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমেও নগদ ক্যাশ ও ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে হতো লেন দেন।

[৫] ভিসা ও ঘুষ বাণিজ্য করে দেশে বহুতল ভবন, বিলাবহুল বাড়ি-গাড়ির মালিক হয়েছেন তারা। বিভিন্ন কোম্পানির ভিসা জালিয়াতি করে অবৈধ টাকা হুন্ডির মাধ্যমে পাঠিয়েছেন ইউরোপ ও বাংলাদেশে।

[৬] ফরিদ হোসেন গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরে বহুতল ভবনসহ ৫০ বিঘা জমি রয়েছে। অপর দিকে তৌহিদুল ইসলাম চট্রগামে ৫টি বহুতল ভবন ও ৪৬ বিঘা জমির মালিক।

[৭] আনোয়ার সাদাত কুয়েতে মুদি দোকানের মালিক। দূতাবাসে চাকরি করে ব্যবসা করার রীতি না থাকলেও প্রভাব খাটিয়ে কামিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।

[৮] কুয়েতে আটক বাংলাদেশি এমপি শহিদুল ইসলাম পাপুলের ভিসা বানিজ্যর সহযোগিও ছিলেন তারা। দূতাবাসের হয়ে কুয়েতের বিভিন্ন দপ্তরে কাজ করিয়ে দিতেন।

[৯] তৌহিদুল ইসলাম মজুমদার ও ফরিদ হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, দুদকে যেহেতু অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তারা তদন্ত করে দেখুক আসলেও আমরা জড়িত কিনা।

[৯] দূতাবাস কর্মকর্তাদের অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পরা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, কুয়েতে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখন যারা সেখানে রয়েছেন তাদেরকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

[১০] এদিকে পাপুলকাণ্ডে কুয়েতে বাংলাদেশের দূতাবাসের শীর্ষ কমকর্তারা ফেঁসে যেতে পারেন বলে জানিয়েছে কুয়েতের একাধিক গণমাধ্যম।

[১১] পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো তদন্তের আওতায় আনা হবে। দায়িত্বে না থাকলেও অভিযোগ তদন্ত করবে রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো।

[১২] পাপুলকাণ্ডে ইতোমধ্যে কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের, জনশক্তি বিভাগের পদস্থ দুই কমকর্তা গ্রেপ্তার হয়েছেন। এছাড়া ৭জন সিনিয়র কর্মকর্তা এবং ৩টি সংস্থায় কর্মরত অন্তত ২১ জন ফেঁসে যাচ্ছেন বলে আরব নিউজ ও আরব টাইমস জানিয়েছে। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়