শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৭ জুলাই, ২০২০, ১২:৫৫ দুপুর
আপডেট : ২৭ জুলাই, ২০২০, ১২:৫৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] সরাইলে লাখো মানুষের স্বপ্নের সড়কে ভাঙন, ডুবে যাচ্ছে বন্যার পানিতে

আরিফুল ইসলাম : [২] ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-অরুয়াইল আঞ্চলিক সড়ক এখন ভাঙনের কবলে, সড়কটির অন্তত ৪০০ মিটার ডুবে গেছে বন্যার পানিতে। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দূর্ভোগে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ।

[৩] জানা গেছে, হাওরের উপর দিয়ে নির্মিত ১৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এ সড়ক সরাইল উপজেলার পাকশিমুল, অরুয়াইল ও চুন্টা ইউনিয়ন এবং জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ও কুন্ডা ইউনিয়নের অন্তত ৫২ গ্রামে বসবাসকারী লাখো মানুষের স্বপ্নের সড়ক। গত ১৫ দিনের ব্যবধানে বন্যার পানির ঢেউয়ে প্রথমে সড়কটিতে ভাঙন দেখা দেয়। পরে বন্যার পানিতে সড়কের অন্তত ৪০০ মিটার ডুবে যায়।

[৪] গত জুন মাসে ১১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটির সাড়ে ১১ কিলোমিটার অংশের সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয়। বাকি রয়েছে উপজেলার চুন্টা ইউপির ঘাগড়াজুর সেতু থেকে পাকশিমুল ইউপির ভূইশ্বর বাজার পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার অংশ। এ অংশ পুরোপুরি হাওরের মধ্যে পড়ায় বন্যার পানির ঢেউয়ে সড়কে ভাঙন শুরু হয়। পরে বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় সড়কটির সদ্য সংস্কার করা অংশে পাকশিমুল ইউপির কালিশিমুল এলাকায় অন্তত ৪০০ মিটার ডুবে গেছে। ঝুঁকি নিয়ে মাঝেমধ্যে কিছু হালকা যান চলাচল করছে।

[৫] এদিকে সড়কটির সংস্কার না হওয়া অংশের ভাঙন রোধ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলজিইডি তাদের কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। ক'দিন আগে এলজিইডি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম নিজে উপস্থিত থেকে সড়কের বিভিন্ন ভাঙন অংশে বালুর বস্তা ও ইটের খোয়া ফেলে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন। এলজিইডি'র এ উদ্যোগ এখনও অব্যাহত আছে।

[৬] স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) দফতর জানায়, সরাইল উপজেলার উত্তর প্রান্তে হাওর এলাকায় ১০ বছর আগে নির্মাণ করা হয় সরাইল-অরুয়াইল সড়ক।

[৭] অরুয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূইঁয়া জানান, সরাইল-অরুয়াইল সড়ক লাখো মানুষের স্বপ্নের সড়ক। বহু প্রতিক্ষার পর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এ সড়ক নির্মিত হয়। এতে লাখো মানুষের জীবনমান পাল্টে যায়। কিন্তু প্রতিবছরই হাওরের পানিতে সড়কটির বড় একটি ভেঙে যায়। এ বছর সংস্কারের পর পরই বন্যার পানিতে সড়কটি ক্ষতিগ্রস্তের কবলে পড়েছে।

[৮] সরাইল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর জানান, সড়কটির ভাঙন ঠেকাতে ইট ও বালু ফেলার কাজ করা হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ অব্যাহত আছে।

[৯] ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এলজিইডি'র নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ অংশের সংস্কার কাজের বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বর্তমানে বন্যায় ভাঙন থেকে সড়কটি রক্ষার জন্য জরুরি তহবিল থেকে খোয়া ও বালুর বস্তা দেওয়া হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়