কূটনৈতিক প্রতিবেদক : [২] ড. এ কে আব্দুল মোমেন আরও বলেন, পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর সব খুনিকে ফেরত আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
[৩] মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল মামলাটি সচল করার পর রাশেদ চৌধুরীর আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলে যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে বহিষ্কার করতে পারে। এ পরিস্থিতিতে রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে এনে মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করাটা বাংলাদেশের জন্য সহজ হবে।
[৪] গত বছরের নভেম্বরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন জানান, রাশেদ চৌধুরীর বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা অ্যালিস ওয়েলস তাঁকে তথ্য-উপাত্ত পাঠাতে বলেছেন। কাজেই রাশেদ চৌধুরীর ভাগ্য এখন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বারের ওপর নির্ভর করছে।
[৫] পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন প্রশাসনের নানা স্তরে বিষয়টি নিয়ে অনুরোধ জানিয়েছিলাম। এখন বিষয়টি কোন দিকে যায়, সেটা আমাদের দেখতে হবে।
[৬] বঙ্গবন্ধুর স্বঘোষিত এই খুনি পঁচাত্তরের পর থেকে দুই দশক বাংলাদেশি কূটনীতিক হিসেবে বিভিন্ন মিশনে দায়িত্ব পালন করেছেন।
[৭] ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে তাঁকে ঢাকায় ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়। দেশে না ফিরে রাশেদ চৌধুরী স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ভিজিটর ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান।
[৮] যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছার দুই মাসের মাথায় তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেন। ২০০৬ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ের অনুমতি পান। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :