সুজন কৈরী : [২] গ্রেপ্তার তিন জন হলেন- মূলহোতা মো. কায়েস হোসেন (৩২), কায়েসের স্ত্রী শহিদা খাতুন (২৫) ও মো. সুজন মাঝি (২৮)।
[৩] রোববার দুপুরে সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির সাইবার ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ বলেন, প্রথমে নারায়ণগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে কায়েস ও শহিদাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেয়া তথ্যে সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সুজনকে। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে বিভিন্ন নামে ও ব্যাংকের ৪৮টি চেক বই, ১৮৫টি চেকের পাতা যার বেশিরভাগই সাইন করা, ৪টি মোবাইল ফোন ও ১টি ডেবিট কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
[৪] রেজাউল মাসুদ বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ভাগ হয়ে বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের ব্যংক অ্যাকাউন্টের তথ্য সংগ্রহ করতো। চক্রের সদস্যরা ব্যক্তিদের বোঝাতো যে, অনেক ব্যবসায়িক লেনদেন হওয়ায় তার নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এত টাকা আসলে ব্যাংক থেকে অ্যাকাউন্ট লক করে দেয়া হয়। তাই চক্রের সদস্যরা মাঝে মাঝে তাদের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করবে ও যে পরিমান টাকা আসবে তার ৪ থেকে ৫ শতাংশ অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের দেয়া হবে। এভাবে চক্রটি অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় চেক বই এবং চেকের সাইন করা পাতা নিজেদের কাছে সংগ্রহ করে রাখতো।
[৫] নাইজেরিয়ান প্রতারকরা ভিকটিমদের বিভিন্ন প্রলোভনে ফেলে বিভিন্ন পরিমানের টাকা প্রদানের জন্য রাজি করিয়ে ফেললেই প্রতারকরা এ চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে অ্যাকাউন্ট নম্বর নিয়ে নিতো। আর ওই অ্যাকাউন্টে টাকা আসলে আগে থেকেই সাইন করা চেকের মাধ্যমে তারা দ্রুত টাকাগুলো স্থানান্তর করে ফেলতো। এ কাজে অ্যাকাউন্ট হোল্ডার ৫ শতাংশ ও অ্যাকাউন্ট ম্যানেজমেন্টের এ চক্র ৫ শতাংশ অর্থ পেত।
আপনার মতামত লিখুন :