সুজন কৈরী : [২] ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করতে সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। কোরবানীর পশুর হাট সমূহের ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ রাজধানীর সকল বিপনী বিতান, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তির টাকা লেনদেন ও পরিবহনে মানি এস্কর্ট ব্যবস্থা প্রবর্তন, সকল লঞ্চ ও বাস টার্মিনাল কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ডিএমপি।
[৩] পশুর হাট কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, কোরবানির হাটের জন্য স্বাস্থ্য বিধিমালা, কাঁচা চামড়া পাচার রোধ এবং ক্রয়-বিক্রয়কালে ব্যবস্থা, বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল এবং রেলওয়ে স্টেশন কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও ঈদ পরবর্তী নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ডিএমপি।
[৪] কোরবানির পশুর হাটে ইজারাদার ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ ডিএমপি কিছু নির্দেশনা দিয়েছে।
[৫] নির্দেশনাগুলো হলো :
১। প্রতিটি হাটের প্রবেশ পথ ও প্রস্থানের পথ পৃথক করতে হবে।
২। হাটে প্রবেশের মুখে প্রয়োজনীয় সংখ্যক হাত ধোয়ার জন্য বেসিন, পানির ট্যাংক ও সাবান এবং পৃথকভাবে হ্যান্ড সেনিটাইজার রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
৩। হাটে প্রবেশের মুখে প্রয়োজনীয় সংখ্যক তাপমাত্রা মাপার যন্ত্রসহ লোক রাখতে হবে।
৪। কোনক্রমেই ফেস মাস্ক ছাড়া কোনো লোককে হাটে ঢুকতে দেয়া যাবে না।
৫। হাটে সামাজিক দূরত্ব কমপক্ষে ৩ ফুট কঠোরভাবে বজায় রাখতে হবে।
৬। কোভিড উপসর্গ নিয়ে কোনো ব্যক্তি কোনোভাবেই হাটে প্রবেশ করতে পারবে না।
৭। যত কম সময়ে সম্ভব কোরবানীর পশু কিনে হাট ত্যাগ করতে হবে।
৮। একজন বিক্রেতার নিকট বেশী ক্রেতা অযথা ভিড় করা যাবে না।
৯। অসুস্থ প্রাণী কোনোভাবেই হাটে বেচাকেনার জন্য আনা যাবে না।
১০। শিশু ও ষাটোর্ধ ব্যক্তিদের হাটে প্রবেশে নিরুৎসাহিত করতে হবে।
১১। স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
[৬] করোনার এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট থেকে কোরবানির পশু কিনতে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
আপনার মতামত লিখুন :