সুজন কৈরী : [২] প্রতিবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে পশুর হাটের প্রস্তুতি, মাদ্রাসা ছাত্রদের লিফলেট বিলি, শিশুদের উৎসুক হয়ে ওঠা সহ ঘরে ও বাইরে যে ধরনের উৎসবের আবহ সৃষ্টি হয় তার অনেকটাই এবার অনুপস্থিত। কোভিডের কারণে আয় রোজগার কমে যাওয়া ছাড়াও স্বাস্থ্যগত কারণে কারো মনে ঈদ উপলক্ষে বাড়তি আনন্দ নেই। ঘর ভাড়া বাকি, দোকান বন্ধ, আয় রোজগারের পথ সীমিত তাই উৎসবেও পড়েছে ভাটা।
[৩] ঈদের আগে জুম্মার নামাজের পর লিফলেট বিলি করে পশুর চামড়া অথবা চামড়া বিক্রির অর্থ মাদ্রাসায় দান করার আহ্বান জানায় কওমি মাদ্রাসাগুলো। এজন্য মাদ্রাসাগুলোর পক্ষ থেকে বিভিন্নস্থানে পোস্টারও লাগানো হয়। কোরবানির পর মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকরা বিভিন্ন এলাকায় যান চামড়া সংগ্রহে। কিন্তু তাদের সরব উপস্থিতি এবার চোখে পড়েনি।
[৪] পশুর হাট বসাকে কেন্দ্র করে নেই কোনো মাকিংও। ‘ভাইসব, ভাইসব অমুক স্থানে এক বিশাল গরু ছাগলের হাট এমন আহবানে কারো কানে বাজছে না। কোরবানী ঈদের অনন্ত ১৫ দিন আগে থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পশুট হাট বসানোর প্রস্তুতি শুরু হয়। হাটগুলোতে ক্রেতাদের আকর্ষণে রিকশা বা সিএনজি অটোরিকশায় করে করা হয় মাইকিং। তবে এবার এমন কোনো মাইকিং চোখে পড়ছে না।
[৫] এদিকে কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে পশুর চামড়া বা চাড়া বিক্রির অর্থ দান করার আহ্বান জানিয়ে বিভিন্ন মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোডিংয়ের পক্ষ থেকে ঈদের অন্তত একমাস আগে থেকে রাজধানীর বিভিন্নস্থানের দেয়ালগুলোতে লাগানো হয় পোস্টার। কিন্তু এবার এমন পোস্টারিংও শনিবার পর্যন্ত চোখে পড়েনি।
[৬] কোরবানির সময় দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলো পশুর চামড়া মাদ্রসায় দান করতে উৎসাহী করে কোরবানিদাতাদের। বিভিন্ন সময় বাড়ি বাড়ি গিয়েও মাদ্রাসারা পক্ষ থেকে চামড়া দান করার অনুরোধ করা হয়। মাদ্রাসারা ছাত্ররাই সাধারণত ঈদের দিন পশুর চামড়া সংগ্রহ করে মাদ্রাসার জন্য।
[৭] ইসলাম ধর্মমতে, কোরবানির পশুর চামড়া যিনি কোরবানি দিচ্ছেন তিনি নিজে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে পশুর চামড়া বিক্রি করলে বিক্রিত অর্থ দান করতে হবে দুঃস্থদের। সম্পাদনা : রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :