সালেহ্ বিপ্লব: [২] ফাহমিদার জীবনে বড়ো একটি আক্ষেপ, বাবার কোনো গানে সুর দিতে পারেননি তিনি। বাবা মাহমুদ উন নবী যখন মারা যান, তখন ফাহমিদা অনেক ছোটো। তার সেই অধরা স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিলেন পিতৃস্থানীয় ‘হাদী চাচা’।
[৩] ফেসবুকে ফাহমিদা জানিয়েছেন, গানের কথা লিখেছেন রানা মাসুদ, সঙ্গীত আয়োজনে ফাহমিদা-সামিনা-অন্তরার একমাত্র ভাই পঞ্চম।
[৪] শিল্পী লিখেছেন, যদি সুরকার হয়ে বাবাকে দিয়ে গান গাওয়াতে পারতাম... !!!!? কি সুর করতাম কি হতো গানের বানী? কেমন লাগতো আমার ? ভাবলেই বুক ফেটে কান্না আসে! সে স্বপ্ন তো পূরণ হয়নি । কারন আব্বা যখন চলে গেলেন.... আমরা নিজেরাই অনেক ছোট ছিলাম।৩০ বছর হয়ে গ্যালো বাবা নেই... রয়ে গ্যাছে অজস্র স্মৃতির ভান্ডার , রয়ে গ্যাছে শুধুই তাঁর গেয়ে যাওয়া ভালো গানগুলো । ভালো গানই বাচিঁয়ে রাখে শিল্পীকে শ্রোতার মনে।
[৫] তবে স্বপ্ন পূরণও হয়েছে, বাবার বন্ধু কলিগ কিংবদন্তী শিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী চাচাও তো বাবার মতোন! তাঁকে দিয়ে যখন এই দেশের গানটি করিয়েছি বিশেষ অনুরোধে। চাচা খুব খুশী হয়ে গানটি করেছেন।গানটি গাইবার সময় বলেছিলেন,তুই আমাকে ভেবেই সুর করেছিস। দোয়া করি আরো সুর কর, গান কর।বাবার সম্মানকে নিয়েই কাজ করে যা....রেকর্ডিংয়ের দিন মনে হচ্ছিলো আব্বাই গাইছেন..!
[৬] শ্রোতাদের কাছে ফাহমিদার আহ্বান, চাচার গাওয়া আমার সুরে গানটি সবাই কে শোনার অনুরোধ রাখলাম। ভালো লাগা মন্দ লাগা সবটাই আমাকে উৎসাহ যোগাবে। কারন সুরের কাজ ধীরে ধীরে হয়। একদিনে তো আর শিল্পী হওয়া যায়না.....সুরও করা সম্ভব নয়...
আপনার মতামত লিখুন :