রাশিদ রিয়াজ : [২] চীনা দূতাবাস বন্ধে ৭২ ঘন্টা আল্টিমেটাম সময় সীমা পার হওয়ার ৪০ মিনিট পর শুক্রবার বিকেলে সেখানে ফেডারেল এজেন্ট ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা ঢুকে পড়েছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ওই দূতাবাসে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়। সিএনএন/স্পুটনিক
[৩] হিউস্টন ক্রনিকেলের খবরে বলা হচ্ছে ওই দূতাবাসের কর্মচারীদের উচ্ছেদের পর তা বুঝে নিয়েছে মার্কিন কর্মকর্তারা। তারা দূতাবাসের তিনটি দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হওয়ার পর ভবরটির পেছনে একটি ছোট দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে পড়ে। তাদের একজনের সার্টে ‘স্টেট ডিপার্টমেন্ট’ লেবেল লাগানো ছিল।
[৪] তাদের প্রবেশের আগে মার্কিন পুলিশ দূতাবাসটির সামনে থেকে ব্যারিকেডগুলো সরিয়ে ফেলে। তারা সঙ্গে ট্রাক, দুটি সাদা ভ্যান , লকস্মিথ ভ্যান ও কালো রংয়ের একটি এসইউভি গাড়ি নিয়ে আসে। এসময় সাংবাদিকরা তাদের ছবি তুলতে থাকেন।
[৫] সাংবাদিকদের মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন টেক্সাসের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহে চীনা কনস্যুলেট জড়িত ছিল এবং কনস্যুলেট কর্মকর্তারা কি ধরনের তথ্য চান সে সম্পর্কে তাদের দিক নির্দেশনা দিয়েছিল।
[৬] মার্কিন বিচার বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, হিউস্টনে চীনা দূতাবাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ২৫টি শহরে নেটওয়ার্ক বিস্তৃত ছিল। আমাদের তদন্তে নাক গলানো হত ওই দূতাবাস থেকে।
[৭] চীনের পক্ষ থেকে হিউস্টনের দূতাবাস বন্ধের ঘটনাকে অপ্রত্যাশীত হিসেবে অভিহিত করে পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে চেংদুতে মার্কিন দূতাবাস বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বেইজিং। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মরগ্যান ওর্তাগাস বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রে ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ও মার্কিন নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায় চীনা দূতাবাস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
https://twitter.com/i/status/1286775699261591555