রাশিদ রিয়াজ : [২] মার্কিন আইনজীবীরা সাবেক নিশান চেয়ারম্যান কার্লোস ঘোসনের ছেলে অ্যান্থনি ঘোসনের বিরুদ্ধে ওই অর্থ ক্রিপ্টোকারেন্সিতে পরিশোধের অভিযোগ তুলেছেন। ম্যাসাচুয়েসেটের দুজন ব্যক্তি এ অর্থের বিনিময়ে কার্লোস ঘোসনকে জাপান থেকে গত ডিসেম্বরে লেবাননে পালাতে সাহায্য করেন।
[২] তবে কার্লোস ঘোসন জাপান থেকে পালানোর পরই গত জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে ওই অর্থ পরিশোধ করা হয়।
[৪] জাপানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে ওই অর্থ পিটার টেইলর ও তার বাবা মার্কিন বিশেষ বাহিনীর সাবেক ও প্রবীণ সদস্য মাইকেল টেইলরের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়। ঘোসন জাপানের একটি আদালতের নজরদারিতে থাকলেও শেষ পর্যন্ত একটি ব্যক্তিগত বিমানে সঙ্গীত যন্ত্রপাতির বাক্সের ভেতরে লুকিয়ে লেবানন পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
[৫] কার্লোস ঘোসনের শৈশব কেটেছে লেবাননে। টেইলর ও তার পিতা বোস্টনের একটি কারাগারে আটক রয়েছেন। তাদের আইনজীবী বলছেন কোভিডের কারণে কারাগারে তাদের জীবন ঝুঁকিতে পড়েছে।
[৬] আদালতে আইনজীবীরা বলেন ঘোসন জাপান থেকে পালিয়ে যেতে মোট ১৩ লাখ ডলার খরচ করেছে।
[৭] ঘোসনকে জাপান থেকে পালিয়ে যেতে তুরস্ক থেকে প্রাইভেট বিমানটি ভাড়া করেছিল মার্কিন নাগরিক জর্জ এ্যান্থনি জায়েক। এজন্যে তাকে সাড়ে ৩ লাখ ডলার দেয়া হয়।
[৮] দুই দশক আগে জাপানের গাড়ি তৈরি কোম্পানি নিশান ব্যাংক ঋণে দেউলিয়া হতে চললে কার্লোস ঘোসনের নেতৃত্বে কোম্পানিটি রক্ষা পায় এবং পরবর্তীতে নিশান-রেনাল্ট-মিৎসুবিশি মিলে ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগ শুরু করে। কিন্তু ঘোসনের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অর্থ কেলেঙ্কারীর অভিযোগ আনে জাপান সরকার।
আপনার মতামত লিখুন :