শিরোনাম
◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলার নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি ◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা (ভিডিও) ◈ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী ◈ দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলের ফসফরাস বোমা হামলা

প্রকাশিত : ২৪ জুলাই, ২০২০, ০৯:১৭ সকাল
আপডেট : ২৪ জুলাই, ২০২০, ০৯:১৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আবদুন নূর তুষার : স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামোগত ও কর্মপদ্ধতিগত সংস্কার জরুরী

আবদুন নূর তুষার :  ১. ব্যক্তির পরিবর্তন কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার প্রমাণ। যদিও সুনাম যা নষ্ট করার তার প্রায় পুরোটাই তারা করে দিয়েছে।

২. মান্ধাতা আমলের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা দিয়ে একবিংশ শতাব্দির স্বাস্থ্যসেবা কখনোই নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।

৩. স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামোগত ও কর্মপদ্ধতিগত সংস্কার জরুরী

৪. চলমান ঘটনাবলী আমাদের ভাবতে বাধ্য করছে যে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থায় নিরীক্ষন বা অডিট নাই, তদারক নাই, অভিভাবক নাই। না হলে মন্ত্রনালয় বলতে পারতো না যে তারা অধিদপ্তর কি করে জানে না। অডিট মানে কেবল হিসাবের খাতা পরীক্ষা করা, এরকম ধারনাও ভুল। চুরিই একমাত্র সমস্যা না। চোর গেলে চোর আসে কারন আলমারীতে তালা নাই , দরজায় পাহারা নাই।

৫. যা দরকার সেটা হলো হেলথ সিস্টেম অডিট। যেমন স্টোর অডিট, নার্সিং অডিট, ইমারজেন্সী ম্যানেজমেন্ট অডিট, আউটপেশেন্ট সার্ভিস অডিট .....এরকম আলাদা আলাদা সেবার জন্য ক্রমাগত নিরীক্ষণ।

৬. সেবার মান ও গুণগত লক্ষ্য ঠিক না করলে সেটা কখনো অর্জন করা যায় না। যেমন আপনাদের মনে আছে কিনা জানি না, প্রাইম ব্যাংক একসময় বলতো আট মিনিটের মধ্যে পে অর্ডার না হলে অভিযোগ করতে। সেরকম হাসপাতালে প্রবেশের পর টিকেট কাটা থেকে ডাক্তার এর দেখা পেতে কয় মিনিট লাগবে তার একটা লক্ষ্য থাকা দরকার। ইমারজেন্সিতে রিপোর্ট করার পরে চিকিৎসা শুরুর সময়টুকু কত হবে তার একটা লক্ষ্য থাকা দরকার। আমাদের সেটা নাই বলে তিনগুন রোগী দেখেও ঢাকা মেডিকেল কলেজের ডাক্তার নার্সরা মূল্যায়িত হয় না। লোকে সি এম এইচ এর প্রশংসা করে। সিএমইচে কি বারান্দায়, মেঝেতে রোগী শুয়ে থাকে? ঔষধ বাইরে থেকে আত্মীয়দের কিনে আনতে হয়? যে কেউ যখন তখন ঢুকতে পারে?

৭. যতো অভিযোগ সব হলো পারসেপশন বা মানুষের অনুভূতি নির্ভর। এর ফলে কখনো রোগী অবহেলিত হয় , কখনো ডাক্তার ভুল অভিযোগের স্বীকার হয়। যদি অডিট ক্রাইটেরিয়া থাকতো তবে সহজেই বোঝা যেতো স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের সেবার দ্রুততা ও মান। চুরি দুর্নীতিও বন্ধ হতো। অভিযোগের সত্যতা যাচাই সহজ হতো।

৮. যে ব্যবস্থা রোগীকে ভর্তি করার পরে রোগীর আত্মীয়কে সেবাযত্নের জন্য হাসপাতালে রাখে, সেটা কখনোই সঠিক সেবা দিতে পারে না। রোগী ভর্তির পরে রোগীর স্বজনের হাতে ধরিয়ে দেয়া হয় একটা ফর্দ। তার মানে হলো দোকান থেকে আত্মীয় ফর্দ দেখে বাজার করে নিয়ে না আসা পর্যন্ত রোগীর চিকিৎসা হচ্ছে না।

৯. জেকেজি, রিজেন্ট সহ বহু কেলেংকারীর কারন হলো রুলস অব বিজনেস বা প্রসিডিওর না মানা। দপ্তরকে পিতৃতালুক মনে করার ঔপনিবেশিক মানসিকতা। যদি যথাযথ কম্প্লায়েন্স থাকতো তাহলে কি আজ এভাবে বদনাম এর দুর্গন্ধ ছড়াতো?

১০. স্বাস্থ্যব্যবস্থার সংস্কার না করলে কিছুদিন পরপরই এরকম চলতে থাকবে। রিফর্ম বা সংস্কার ছাড়া কোনভাবেই মানুষের মনে এই স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপরে আস্থা ফেরানো যাবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়