তাপসী রাবেয়া: [২]যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনের একটি কারাগারে প্রায় একমাস ধরে অনশনে থাকা এক বাংলাদেশি অভিবাসীকে জোর করে খাওয়ানোর অনুমতি দিয়েছে টেক্সাসের একটি আদালত। মাহবুব আহমেদ- বেগম নামের ওই বাংলাদেশি গত মাসে অনশন শুরু করার পর শরীরের ২০ শতাংশ ওজন হারিয়েছেন বলে আদালতের নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে।বিবিসি
[৩]ইউএস ডিস্ট্রিক্ট জাজ অ্যান্ড্রিউ হানান ১৪ জুলাই হোমল্যান্ড সিকিউরিটির কর্মকর্তাদের সাময়িক আদেশে তাকে জোর খাওয়ানোর অনুমতি দিয়েছিলেন। এবার সেই অনুমতি দীর্ঘ সময়ের জন্য দেওয়া হয়েছে। আদালত জানিয়েছে, এমন পদক্ষেপ ছাড়া অনশনে থাকা ব্যক্তি মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। লিভার ও কিডনি চিরতরে বিকল, হৃদযন্ত্র অকেজো বা মৃত্যু হতে পারে।
[৪]আদালত বলেছে, অনশনে থাকা ব্যক্তি এমনিতে দুর্বল ও কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে জোর করে খাওয়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
[৫]স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আহমেদ- বেগমের করোনা পরীক্ষা দুই বার করা হয়েছে। একবার পজিটিভ ও দ্বিতীয়বার নেগেটিভ এসেছে। তিনি কারাগারের চিকিৎসকদের বলেছেন, দেশে ফেরার চেয়ে তার মৃত্যুই ভালো। কারণ তিনি জানেন দেশে ফিরলে তারা তাকে হত্যা করবে।
[৬]ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) কর্মকর্তারা তার মামলার অবস্থা সম্পর্কে কোনও তথ্য প্রকাশ করেননি। তাকে দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার কোনও তারিখ নির্ধারিত করা হয়েছে কিনা তাও জানা যায়নি।
[৭]কারাগারের চিকিৎসকরা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছেন, আহমেদ- বেগম হতাশায় ভুগছেন কিন্তু তার এই হতাশা বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে সুনির্দিষ্টভাবে জড়িত। দেশে ফেরার আতঙ্কেই এই হতাশা।
[৮] দোভাষীর মাধ্যমে আহমেদ- বেগম বলেন, আমি শুধু একটি সুযোগ চাই, শুধু একটি সুযোগ... এই দেশে থাকার এবং বাঁচার জন্য। এই বছরের শুরুতে নেপালের এক অভিবাসী এবং গত বছর দুই ভারতীয় অভিবাসী টেক্সাসের এল পাসো অভিবাসন কাস্টডিতে অনশন শুরু করলে তাদেরও জোর করে খাওয়ানো হয়। তিনজনকেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও অভিবাসন আদালতে তাদের শরণার্থীর আবেদন শুনানির অপেক্ষায় ছিল। এই তিনটি ঘটনায় অভিবাসনের পক্ষে থাকা লোকেরা আইসিই কাস্টডিতে সেবার মান নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :