চারু হক : সরকার প্রযোজিত সাহেদ, সাবরিনা কিংবা স্বাস্থ্য ডিজির মতো সারফেস লেভেল সেনসেশনাল ইস্যুতে ব্যস্ত রাখা হচ্ছে সোকল্ড শিক্ষিত ও সচেতন ভাবাপন্ন জনতাকে। অন্যদিকে ডিপার লেভেলে স্রেফ ক্ষমতার স্বার্থে এদেশের রাজনীতির মতো অর্থনীতির সর্বগুরুত্ববহ খাতগুলোর নিয়ন্ত্রণ তুলে দেওয়া হচ্ছে অন্যদেশের হাতে। বন, ব্যাংক, পাটের পর এখন বন্দরটাও চলে যাচ্ছে- যে বন্দরের ওপর আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্তত ৯০ ভাগ নির্ভর করে। এবং সবাই জানে, আমাদের নির্ভরতার অবলম্বনগুলো যার নিয়ন্ত্রণে যাবে- তার ওপরেই আমাদের, রক্তার্জিত স্বাধীন বাংলাদেশকে নির্ভরশীল হয়ে পড়তে হবে।
স্বাধীনতার স্পৃহা বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিশ্চয় এই অবিশ্যম্ভবী পরনির্ভর পরিস্থিতির সাথে মানানসই নয়। ত্রিশ লাখ কিংবা তারও অধিক শহীদ তাদের রক্তপ্রাণ সপে দিয়েছেন দয়া-দাক্ষিণ্যে নির্ভর পঙ্গু ভিখারি রাষ্ট্র বানানোর জন্য নয়। কথা হচ্ছে, এরকম ইস্যুতে অন্য যেকোনো দেশে জাতীয় সংহতি গড়ে ওঠার সম্ভাবনা রাখত, বাম- ডান, স্যেকুলার-ফান্ডামেন্টাল একজোট হয়ে যেত। কিন্তু বাংলাদেশে যেহেতু এখন সময়েও যে সম্ভাবনা সুদূর পরাহত, সে অর্থে এদেশের অভাবিত আগামী অতি নিকটেই হয়তো অপেক্ষারত। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :