মিনহাজুল আবেদীন : [২] অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে বাংলাদেশিদের মৃত্যুর ঘটনায় সিলেটে জামায়াত নেতা এনামুল হকসহ ছয় ট্রাভেলস ব্যবসায়ী ও দালালকে আসামি করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ। জাগোনিউজ
[৩] ২০১৯ সালের ৯ মে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে অন্তত ৬৫ জন মারা যান। নিহতদের বেশিরভাগই ছিলেন বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলের বাসিন্দা। এ ঘটনায় সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের মুহিদপুর গ্রামের আব্দুল আজিজ মারা যান। পরে তার ভাই মফিজ উদ্দিন বাদী হয়ে ওই বছরের ১৬ মে ট্রাভেলস ব্যবসায়ী ও জামায়াত নেতা এনামুল হকসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় বৃহস্পতিবার পৃথক দুটি চার্জশিট আদালতে দাখিল করে সিআইডি।
[৪] সিলেটের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডি সিলেট জোনের ইকোনমি ক্রাইম বিভাগের পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম খান। চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন- সিলেট নগরীর জিন্দাবাজার রাজা ম্যানশনের নিউ ইয়াহিয়া ওভারসিজের মালিক স্থানীয় জামায়াতের সূরা সদস্য এনামুল হক, গোলাপগঞ্জের জায়েদ আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজ্জাক হোসেন, নোয়াখালীর মনজুর হোসেন রুবেল, ইয়াকুব রিপন ও আন্তর্জাতিক পাচারকারীচক্রের মূলহোতা লিবিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি নাসির উদ্দিন রুমান ওরফে ‘গুডলাক’। এদের মধ্যে এনামুল হক ও আব্দুর রাজ্জাক বর্তমানে কারাগারে আছেন। অপর চার আসামি পলাতক। বাংলানিউজ
[৫] মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম খান জানান, মানবপাচারকারী চক্রটি স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে বিদেশে যেতে আগ্রহীদের নানা প্রলোভনে লিবিয়ায় নিয়ে যায়। সেখানে ইতালিতে যেতে আগ্রহীদের ঝুঁকিপূর্ণভাবে ভূমধ্যসাগরে একটি প্লাস্টিকের নৌকায় তুলে দেয়া হয়। কিন্তু সাগর উত্তাল হয়ে উঠলে নৌকাডুবে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, এই চক্রটি লিবিয়ায় মানুষকে জিম্মি করে দেশে থাকা স্বজনদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করত। প্রিয়.কম
আপনার মতামত লিখুন :