ডেস্ক রিপোর্ট: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে রপ্তানিকৃত বাংলাদেশী ব্যবসায়ীর ৬ হাজার ৩৫০ কেজি মাছ বোঝাই একটি ট্রাক ছিনতাই হওয়ার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার সকালে স্থলবন্দর এলাকায় এ সংবাদ সম্মেলন হয়। আগামী দু'এক দিনের মধ্যে ছিনতাই হওয়া মাছের বিষয়ে সমাধান না হলে এ বন্দর দিয়ে সকল প্রকার পণ্য রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে সংবাদ সম্মেলন থেকে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আখাউড়া স্থল বন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফোরকান খলিফা, আমদানী রপ্তানীকারক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো: শফিকুল ইসলাম, মাছ রপ্তানীকারক ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো: ঈদন খান, ব্যবসায়ী মোঃ নেসার উদ্দিন ভূইয়া, মো: নাজির হোসেন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে সিএন্ডএফ এজেন্ট সাকিয়াত কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী ও মাছ রপ্তানীকার সমিতির সভাপতি মো: ঈদন মিয়া বলেন, গত ৯ জুলাই আমি ত্রিপুরার আগরতলায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৫০৫ ডলার মূল্যমানের মাছ রপ্তানি করি। ২৪টি ট্রাকে করে ওই মাছগুলো পাঠানো হয়। কিন্তু ওই দিন রাতে মাছগুলোর আমদানীকারক আগরতলার ভাস্কর দাস আমাকে টেলিফোন করে জানায় মাছবাহী ট্রাক বন্দর থেকে বের হয়ে শিলচর যাওয়ার পথে রামনগর এলাকায় কতিপয় ছিনতাইকারী ১ ট্রাক মাছ ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। ওই ট্রাকে ১২৭টি কার্টুনে ৬ হাজার ৩৫০ কেজি মাছ ছিল। যার মূল্য ১৫ হাজার ৮৭৫ ডলার। ভারতের আমদানীকারক জানিয়েছে ছিনতাই হওয়ায় ওই মাছের মূল্য পরিশোধ করতে সমস্যা হবে। বিষয়টি সমাধানের জন্য আমি আগরতলার ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেছি। কিন্তু তাদের কোন আন্তরিক সহযোগিতা পাচ্ছি না। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানের জন্য বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
আখাউড়া স্থল বন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফোরকান খলিফা বলেন, আগরতলার ব্যবসায়ী নামধারী কিছু উচ্ছৃঙ্খল লোকের দ্বারা বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বার বার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আমরা বিচারের জন্য তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। কিন্তু বিচার পাচ্ছি না। তিনি বলেন আগামী দু'এক দিনের মধ্যে ছিনতাই হওয়া মাছের বিষয়ে সমাধান না হলে আমরা এ বন্দর দিয়ে সকল প্রকার পণ্য রপ্তানি বন্ধ রাখব।
বিডি প্রতিদিন, যুগান্তর
আপনার মতামত লিখুন :